ঢাকা, রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ১:৫৩
বাংলা বাংলা English English

রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে আমদানী করা কয়লা চিলমারী বন্দরে খালাসে বাঁধা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


কয়লাবাহী বাল্কহেডের দুই মালিকের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভারত থেকে আমদানী করা ১৯৭মে.টন কয়লা চিলমারী নদীবন্দরে আসার সাড়ে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তা খালাস করতে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে কয়লা খালাসের দাবি নিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় প্রেসক্লাব চিলমারীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর.কে ড্রেজিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি মাসুদ কবির রানা।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদ কবির রানা জানান,ভারত থেকে চলতি বছরের ৫জুন তারিখে একটি বাল্কহেডে ১৯৭মে.টন কয়লা আমদানী করে নিয়ে আসি। যার সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, এ.আই.টিসহ সরকারের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে।বাল্কহেডটি চিলমারী ফকিরেরহাট ঘাটে আসলে সরকারী যাবতীয় নিয়ম মেনে কয়লা আনলোড করতে শুরু করি।আনলোড করতে গেলে বাল্কহেডের মুল মালিক শিরাজগঞ্জ এলাকার মো.আনোয়ার হোসেন কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয়। বাল্কহেডের ভাড়াটে মালিক পাবনা এলাকার মো.আনোয়ার হোসেনের সঙে মূল মালিক আনোয়ার হোসেনের লেনদেন থাকায় কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয় বলে জানা গেছে। এরপর বাল্কহেডটি কয়লাসহ জোরপূর্বক কাঁচকোল ঘাটে নিয়ে আসেন তারা।
পণ্য খালাসির বিষয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বৈঠক করে কোন সুরাহা না হওয়ায় চিলমারী মডেল থানা এবং জেলা প্রশাসকের নিকট গত ১৫সেপ্টেম্বর তারিখে লিখিত অভিযোগ করি।অভিযোগ করার ১১দিন অতিবাহিত হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
মাসুদ কবির রানা আরও বলেন,এই সময়টিতে বাল্কহেডে দায়িত্বরত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো.নুর হোসেনকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে। গত ২৫সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে (ম্যানেজার) হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাল্কহেডসহ নিয়ে নিয়ে যাচ্ছিরেন বাল্কহেডের মালিক ও তার লোকজন।
যাওয়ার পথে বাল্কহেডটি উপজেলার কড়াইবরিশাল এর আগে একটি চরে আটকে যায়। এসময় নৌ-পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত কারণে বাল্কহেডের ম্যানেজারকে ঘটনাস্থলে রেখে চলে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ম্যানেজার নুর হোসেন জীবন বাঁচিয়ে অন্য নৌকা যোগে রমনা ঘাটে ফিরে আসে।
কয়লা আনলোডের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং কয়লা আনলোডসহ নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সহযোগিতা চেয়েছেন মাসুদ কবির রানা।
বাল্কহেডটির মালিক শিরাজগঞ্জ এলাকার মো.আনোয়ার হোসেন বলেন,ভাড়াটে আনোয়ার কয়লা আমদানী কারকের সাথে যৌথ ব্যবসা করে বলে জেনেছি। তাই আমার পাওনা ৩০লক্ষ টাকা আদায়ের জন্য কয়লা আনলোড করতে দেইনি। আমার টাকা পরিশোধ করে কয়লা আনলোড করতে কোন বাধা নেই।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ জানান,বিষয়টি পুরাতন। এটি নিয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের কিছু নেই।

সব খবর