ঢাকা, শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, সন্ধ্যা ৭:০৮
বাংলা বাংলা English English

শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টেন্ডার মূল্যায়নে কারসাজির অভিযোগ


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে টেন্ডার মূল্যায়নে কারসাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরিশাল নদী বন্দরের আওতাধীন “রকেটঘাট সংলগ্ন কাঁচা বাজার রোড চার্জ পয়েন্ট” এর ইজারা আদায়ের জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর স্পষ্ট কোটেশন রেটে এক মাসের মেয়াদে দরপত্র আহ্বান করেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্পষ্ট কোটেশন দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো। স্পষ্ট কোটেশনে পাঁচজন দরতাদা অংশগ্রহণ করেন। ওইদিন টেন্ডার কমিটির সকলের উপস্থিতিতে কোটেশনে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা আদায়ের জন্য অনুমতি দেওয়ার কথা থাকলেও। কারসাজির মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা নাজমুল হককে ৯০ হাজার টাকায় ইজারা না দিয়ে, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে সর্বনিম্ন দরদাতা আবুল কালামকে ৬২ হাজার টাকায় যোগ্য দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করে ইজারা আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়। বন্দর কর্মকর্তার দুনীতির কারণে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

ভুক্তভোগী সর্বোচ্চ দরতাদা নাজমুল হক বলেন বিআইডব্লিউটিএর বিজ্ঞপ্তির নিয়ম অনুযায়ী স্পষ্ট কোটেশনে ইজারা আদায়ের জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর দরপত্র দাখিল করি। বন্দর কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি নির্বাচিত হলেও আমাকে ইজারা না দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা আবুল কালামকে ইজারা আদায়ের জন্য অনুমতি দিয়েছে। তার দুনীতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকের কাজে অভিযোগ দিবো।

বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়ার যায় নাই।

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন স্পষ্ট কোটেশন টেন্ডারের বিষয় টা বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা দেখেন। নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা কাজ পাবে কোন অনিয়ম হলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

 

সব খবর