পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ফোনসেট চুরির ঘটনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলার শিকার শাওন খান (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। বুধবার দিনগত গভীর রাতে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্র প্রতিপক্ষদের হামলার শিকার হয়।
নিহত স্কুলছাত্র শাওন উপজেলার তেলিখালী গ্রামের জেলে শাহীন খান এর ছেলে। সে স্থানীয় তেলিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে আসছিলো।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, গত ১ জুলাই স্কুলছাত্র শাওন নিজের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে স্কুলে যায়। মোবাইলটি শ্রেণীকক্ষে বসে সহপাঠি কেউ চুরি করে। পরে শাওন তার সহপাঠি স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে শাহেদ বীনকে সন্দেহ করে। শাওন বিষয়টি নিন্ডিত হয়ে শ্রেণী শিক্ষক আবুল হোসেন এর নিকট অভিযোগ দেয়। পরে শ্রেণী শিক্ষক অভিযুক্ত ছাত্র শাহেদ বীনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে। তবে শাওন ওই জরিমানার টাকা বুঝে পায়নি। এ নিয়ে সহপাঠি শহেদ এর সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
শাওন এর পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনার জের ধরে সহপাঠি শাহেদ তার কয়েকজন সহযোগি নিয়ে গত ২৪ সেপ্টম্বর বেরিবাধে শাওনকে আটকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহত শাওনকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বুধবার দিনগত গভীর রাতে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত শাওন এর চাচা সাইদুল খান বলেন, মোবাইল নিয়ে বিরোধে আমার ভাইয়ের ছেলেকে শাহেদ বীন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হামলা চালায়। ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় শাওন মারা যায়। আমরা এ হত্যাকান্ডের কঠোর বিচার দাবি করছি।
নিহত শাওন এর স্কুলের শ্রেণী শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, স্কুলে শাওন এর মোবাইল ফোনসেট চুরি হয়। আমাকে অভিযোগ জানানো হলে আমি বিষয়টি তদন্ত করে শাওন এর সহপাঠি শাহেদ এর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে নিন্ডিত হই। এজন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি মিটিয়ে দেই। পরে শাওনকে কে বা কারা হামলা চালিয়ে আহত করেছে সে বিষয়ে আমি নিন্ডিত কিছু জানিনা।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান বিষয়টি নিন্ডিত করে বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।