পিরোজপুরের কাউখালীতে পাগলা কুকুরের উপদ্রব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, পথচারী ও সাধারণ জনগণ রাস্তা দিয়ে চলার সময় কুকুরের আতঙ্ক থাকে। কুকুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কোন শ্রেণীর মানুষ।স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাউখালী সদরের আসপদ্দি গ্রামের উত্তম দেউড়ির মেয়ে সৃষ্টি ও একই গ্রামের মিলন হালদারের ছেলে প্রণয় হালদার এই দুই স্কুল ছাত্রছাত্রীকে পাগলা কুকুরে কামড় দিয়েছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। অভিভাবকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্কুল ছাত্র আলিফ জানান কুকুরে ভয় স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছি, অভিভাবক ফারজানা বলেন, কুকুরের কারণে আমরা আমাদের কোমলমতি বাচ্চাদের বিদ্যালয় দিয়ে ও নিয়ে আসতে হয়। অভিভাবকরা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা বলেন উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না, আপনাদের জেলা হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসতে হবে।এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমরা জলাতঙ্ক টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুজন সাহা বলেন, কুকুরে কামড় দিলে তাৎক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা নিতে হবে। জেলা হাসপাতালে টিকার ব্যবস্থা আছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে টিকা থাকে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।