ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ৮:৫৯
বাংলা বাংলা English English

শুক্রবার, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবস্টোরে কর্মরত ফার্মাসিস্ট দীর্ঘদিনের অনিয়মের বিরুদ্ধে পরিচালক এর কাছে অভিযোগ


শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবস্টোরে কর্মরত ফার্মাসিষ্ট নাবিলা নূর বর্ষা প্রায়ই কর্মস্থলে বিলম্বে উপস্থিত হয় এবং কখনও কখনও কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে। অনেক সময় বিলম্বে উপস্থিত হয়েও কিছু সময় সাবস্টোরে অবস্থান করে কাউকে কিছু না জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে চলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তাকে ইতিপূর্বেও একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও সে বৈধ আদেশের প্রতি তাচ্ছিল্যতা প্রদর্শন পূর্বক একই আচরনের পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ প্রতিষ্ঠানে তার বায়োমেট্রিক হাজিরা ও হাজিরা খাতায় রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিগত (১৮ই মে ২৪ ইং) তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম অত্র হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। ঐদিনেও উক্ত ফার্মাসিস্ট বর্ষা ১০:৩৯ মিনিটে কর্মস্থলে উপস্থিত হয় এবং কেন তাকে ফোন দিয়ে নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসার কথা মনে করিয়ে দেয়া হলো না, তার জন্য সাবস্টোরের ইনচার্জসহ অন্যান্যদের সাথে বিরুপ আচরন করেন। সাবস্টোর ইনচার্জ ডাঃ সুমির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ডাঃ সুমি আবারও তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও অদ্য পর্যন্ত তার আচরনের কোন সংশোধন সাবস্টোর ইনচার্জ এর নিকট পরিলক্ষিত হয়নি। তার এমন কর্মকান্ডের জন্য সাবস্টোরসহ অন্যান্য সকল স্টোরের শৃঙ্খলা এবং কাজে বিঘ্ন ঘটছে। একইসাথে নিরীহ ও নিয়ামানুবর্তি স্টাফদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। কারণ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনবলের ঘাটতি এবং একইসাথে প্রচন্ড রোগীর চাপে সাবস্টোরে কর্মরত স্টাফদের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করে স্টোর খোলা ও বন্ধ করা প্রায়ই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এর সাথে রয়েছে অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারনে অডিট সংক্রান্ত জটিলভা এবং গণমাধ্যম সহ সরকার তথা কর্তৃপক্ষের নিকট স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতা। এবিষয়ে পরিচালক বরাবর বিষয়টি অবগত করলে, বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষনিক তাকে আবারও মৌখিকভাবে এই বলে সতর্ক করেন যে, এমন আচরনের পুনরাবৃত্তি করলে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক বদলি করা হবে। কিন্তু মৌখিক তিরস্কারের পরেও সে বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন এবং সাবস্টোরে কর্মরত সকল স্টাফরা সকাল ৮ থেকে ৮:৩০ এর মধ্যে উপস্থিত হলেও উক্ত ফার্মাসিস্ট, নির্দেশনার প্রতি কর্ণপাত না করে বিলম্বেই কর্মস্থলে উপস্থিত হয়। এটি তার দীর্ঘদিনের খারাপ অভ্যাস। কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশের প্রতি বারবার এভাবে তাচ্ছিল্যতা প্রদর্শন করে সাবস্টোরের শৃঙ্খলা ভঙ্গপূর্বক কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নষ্ট হয়। এবং সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আচরন বিধির পরিপন্থি ও অসদাচরন বলে পরিগনিত হয়। তাছাড়া মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত ফার্মাসিস্টের এরকম দীর্ঘদিনের অনিয়ম দৃষ্টিগোচর হলে, অত্র প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ যেকোন প্রশাসনিক প্রসিডিউর এর শিকার হবার ঝুঁকি রয়েছে। উল্লেখ্য যে, তাকে কর্মস্থলে সঠিক সময়ে উপস্থিতির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রায়ই অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অজুহাত শোনায় যা বিব্রতকর এবং একই সাথে এর সত্যতা নিয়েও সন্দিহান। সিনিয়র স্টোর অফিসার (গ্রেড-৬) হিসেবে কর্মরত ডাঃ সুমি আক্তার উক্ত ফার্মাসিস্টের উপস্থিতি সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য অবগত হওয়ার এখতিয়ার রাখেন। কিন্তু যে, সাবস্টোরের ইনচার্জকে উক্ত ফার্মাসিস্ট কোন কিছু অবগত না করেই বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে। উল্লেখ্য এর পূর্বেও ফার্মাসিস্ট বর্ষা ডিসপেনসারিতে কর্মরত ছিল এবং সেখানে কর্মরত থাকাকালীন সময়েও নিজের খেয়াল খুশিমত কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করত এবং অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে খারাপ আচরন করত বলে মৌখিক অভিযোগ রয়েছে।

সব খবর