ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ৮:৪১
বাংলা বাংলা English English
শিরোনাম:
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কেরানীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩ জন, আহত ১০ জনেরও পরিচয় চলছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭ জন  দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা, আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক ইসলামী আন্দোলনের আহ্বান: স্বৈরাচারকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত না করা রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ ৩ অক্টোবর ২০২৪: আজকের নামাজের সময়সূচি সুইডেন ও আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতরা রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন লঘুচাপের সম্ভাবনা, বৃষ্টি থাকতে পারে আরও কয়েকদিন বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা, রাতেই ঝড়ের পূর্বাভাস যেসব অঞ্চলে

নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কেরানীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩ জন, আহত ১০ জনেরও পরিচয় চলছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭ জন  দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা, আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক ইসলামী আন্দোলনের আহ্বান: স্বৈরাচারকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত না করা রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ ৩ অক্টোবর ২০২৪: আজকের নামাজের সময়সূচি সুইডেন ও আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতরা রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন লঘুচাপের সম্ভাবনা, বৃষ্টি থাকতে পারে আরও কয়েকদিন বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা, রাতেই ঝড়ের পূর্বাভাস যেসব অঞ্চলে
মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ছাত্ররা কলম ছাড়ো অস্ত্র ধরো” ১৬ বছরে ধ্বংস শিক্ষা ২/১ বছর না পড়লে কি হবে?


দু-এক বছর পড়ালেখা না করলে এ জাতি ধ্বংস হবে না, বিভিন্ন দিকে খবর পাচ্ছি, ওরা ফিরে আসছে?
—————————————————————–
গন্ধ পাচ্ছি, শকুনের উৎকট গন্ধের, শকুনের দুটি ডানার বাতাসের শব্দ কানে আসছে। মানে ওরা আসছে, ওরা ফিরে আসছে, আবারও শকুনের কালো দুটি থাবা নিয়ে, খুবলে খুবলে খাবে প্রায় দুই সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত ২০২৪ এর দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে ১৮ কোটি মানুষের স্বাধীনতা। কথাগুলো হালকাভাবে নিলে ধ্বংস হবে আবারো অনেক তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই ২য় স্বাধীনতা। শেষ পর্যন্ত গেলেই বুঝতে পারবেন কি ভয়াল দিনগুলো সামনে আসছে।

শপথ নিয়েছিলাম – মূর্খের দেশে আর কিছু লিখব না, যে জাতি নিজের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, ভবিষ্যৎ নিয়ে মোটেও ভাবে না, সে জাতিকে আর কতই বা হিতোপদেশ দিব? কিন্তু ওই যে “বিবেক” নামক একটা যন্ত্রনা তা থেকে লিখতেই হয়। বিবেক বড় খারাপ জিনিস, যদি একবার জাগ্রত হয় তা মৃত্যু পর্যন্ত যেতে কাউকে দ্বিধা করে না। বিগত ৫৩ বছর পরাধীনতার শৃঙ্খলে থেকেও যে জাতির বিবেক জাগ্রত হয়নি সে নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই আমার, কিন্তু চোখে দেখা বুক চিতিয়ে স্বৈরাচারী, খুনি, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বাহিনীর বন্দুকের নলের গুলির সামনে দাঁড়ানো যুবকদের যে বিবেক ২০২৪ সালে দেখেছি, দেখেছি চোখের সামনে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে একদিনেই শতাধিক লাশ, ভ্যান গাড়িতে, রিক্সায় করে বা সহযোদ্ধাদের কারো কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যগুলো – তা কি এত সহজেই ভুলে যাব? সেই দৃশ্যগুলো চোখের সামনে দেখার পর অর্জিত স্বাধীনতার জন্য জাগ্রত যে ‘বিবেক’ তাকে তো মরে যেতে দিতে পারি না। তা থেকেই আজকের এই লেখা। জানিনা আর লিখব কিনা বা লিখতে পারবো কিনা!

১৬ বছরে যা ধ্বংস হয়েছে এক বছরে কি তা পূরণ হবে?
—————————————————————–

বিগত সাড়ে ১৫ থেকে ১৬ বছরে অশিক্ষা, ধর্মহীনতা, বিরাজনীতিকরন, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, শোষন, নিষ্পেষণ, লুণ্ঠন, গুম, খুন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দেশকে, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু বানানোর জন্য যারা কাজ করে গেছেন, যাদের কারনে দেশের মানুষ আজ তাদের সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব, শিক্ষা-সংস্কৃতি ধ্বংসের মাধ্যমে এ জাতির মেরুদন্ডকেই ভেঙ্গে দিয়েছে, সেই জাতির দু-এক বছর পড়ালেখা না করলে এমন কিছু যায় আসে না। ফের গোলামীর জিঞ্জির না পড়লে আবার ফিরে পাবে সেই শিক্ষা, সেই দেশ, সেই ভবিষ্যৎ যাতে কোন বাধা বিঘ্ন জঞ্জাল থাকবে না। মুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠবে স্বাধীনচেতা বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

আজকে আবারো কবি নজরুল ইসলামের কবিতার কথায় বলতে হয়————————
“দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার,
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুশিয়ার
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ
ছিরিয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ
এ তুফান ভারী দিতে হবে পারি নিতে হবে তরী পার
দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার,
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুশিয়ার”

স্বাধীনতার সেই বিবেককে জাগ্রত হতে দেখেছি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের ভিতর। যেমনটা হয়েছিল আরব বসন্তের তিউনিশিয়ায় ২৬ বছর বয়সী সবজি বিক্রেতা, টগবগে যুবক বোয়াজিজির। নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত পুড়ে একটি দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তেমনি বাংলাদেশের আবু সাঈদের বন্দুকের সামনে নিজের বুক পেতে দেয়া দেখেই জাগ্রত হয়েছিল গোটা দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এরপরের মৃত্যুর মিছিলের করুন ইতিহাস সকলেরই জানা, তারপর স্বাধীনতার আনন্দ কতটা বর্ণিল তা ৫ আগষ্ট এ জাতি অনুভব করতে পেরেছে। সেই আনন্দ তো নিমিষেই মুছে যাবে এমনটা হতে দিতে পারেনা এই বীরের জাতি।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট হুবহু তুলে ধরছি–তারপর আমার কথায় আসছি
—————————————————————-

“আমার এক ঘনিষ্ঠ কমান্ডো সৈনিকের মেসেজ যা আদতেই খুবই অস্বস্তিকর।।।।।।।

“””আসসালামুয়ালাইকুম, sir একটা জরুরী নিউজ আপনাকে অবগত করতে চাই, আজকে সন্ধ্যায় ঢাকায় মতিঝিল এলাকায়, আমার অল্প পরিচিত আওয়ামীলীগের ৪ জন নেতা টাইপের লোক চা খাচ্ছে, হঠাৎ আমি ও গিয়ে হাজির হলাম , শুনতেছি ওনারা বলাবলি করছে, আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিদের্শ দিয়েছে যে কোন মুহুর্তে আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে, কারন তারা বললো যে ইন্ডিয়ান RAW নাকি গেম সাজাচ্ছে, যেদিন ফাইনাল মাঠে নামবে সবাই এক সাথেই নামবে, এবং সরকার কে একসাথে মরন কামড় দিবে,আর এই কাজটা Raw গেম প্লান করবে আর সাথে থাকবে পুলিশের একটি অংশ, আনসারের কিছু লোক, বড় একটা অংশ সরকারী আমলা এবং তাদের দলীয় লোক জন, তারা ভিতরে ভিতরে WhatsApp এ সব পরিকল্পনা করছে, তারা আরও বললো তাদের থানা ও জেলা পর্যায়ে দলীয় নেতা কর্মী গ্রেফতার করা হয় নাই, তাই তারা সহজেই জিতে যাবে, sir সত্যিই বলছি ওনারা সিরিয়াসলি আলাপ করতেছিল, ওনাদের সিরিয়াস নেস দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম sir, হয়তো কোন একটা আক্রমণ তারা করবেই sir, অতএব সরকার কে সাবধান করে দিতে হবে স্যার,Cpl মামুন (retd) CDO,”””

কমান্ডো মামুনের মাথায় যখন এই জিনিসটি আসতে পেরেছে তখন আমাদের কি করা উচিত বা কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত?????? আবু সাঈদ সহ শত ভাই বোনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা আমরা কি এভাবে বৃথা যেতে দেব??? //

আজকে এই কলামটি লেখার আগে সতর্ক করে আরো তিনটি কলাম ইতিমধ্যেই লিখেছিলাম। যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে যাদের গোলামীর জিঞ্জির পড়েছিলাম তাদের কাছ থেকে জিঞ্জির ছিন্ন করার কারণে তারা বসে নেই। প্রায় দুই হাজার শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, ছাত্র, মা, বোন, কৃষক, রিক্সা চালক, ভ্যানচালক দিনমজুর, অফিস কর্মী, পুলিশ, আনসার, অফিসার এমন কোন ধরনের মানুষ বাদ যায়নি এই এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার ক্ষমতালিপ্সার কারণে মৃত্যু, পঙ্গুত্ব, অন্ধত্ব এমনকি কোন একটা অঙ্গ হানি থেকে। অথচ এই গোলামীর জিঞ্জির ভাঙ্গার শুরুটা করেছিল তরুণ যুবক যারা ছাত্র ছাত্রী তারাই। বিগত দিনগুলোতে যারা আমাদেরকে গোলাম বানিয়ে রেখেছিল তাদের কাছ থেকে হঠাৎ গোলামীর জিঞ্জির ছিন্ন করায় তারা তেলে বেগুনে চটে আছেন। যেকোনো মূল্যেই তারা আবার গোলামীর জিঞ্জির পড়ানোর চেষ্টা অনবরত চালিয়ে যাচ্ছে।

ডক্টর ইউনূসের সরকার কোন বিপ্লবী নয় বরং এটি কেবলমাত্র অন্তর্বর্তী সরকার এবং তাদের যত ভুল..
—————————————————————-
খুনি, স্বৈরাচারী, এক নায়ক, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর প্রথম প্রয়োজন ছিল সরকারের সমস্ত তৈরি করা প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে দেয়া। কারণ কোন দেশে বিপ্লবের পর তাই ঘটে। কিন্তু আমাদের দেশে কি তা ঘটেছিল? কার অদৃশ্য ইশারায় সেই আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের গড়ে যাওয়া সংবিধান রাষ্ট্রপতি তথা ওই রীতির গাছ তলায় বসে সেই আদলে শাসন করতে শুরু করলেন নতুন উপদেষ্টা ও তার পরিষদ বর্গ? শুধু তাই নয়, সেই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারি কাঠামোর অধীনেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা ডঃ ইউনুসের অরাজনৈতিক সরকার গঠিত হয়, শপথ নেয়। সেই আওয়ামী লীগের নির্বাচিত ও দলীয়, অনুগত এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর হাতেই শপথ নেন বর্তমান সরকার। এমন বিপ্লবী সরকার তৈরির পরদিনই ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা কিংবা ৭২ ঘন্টা অথবা সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যেই বিগত সরকারের চেইন অফ কমান্ড ভাঙ্গা উচিত ছিল যেটা অবশ্যই সম্ভব ছিল। সংবিধান স্থগিত করে দেওয়া উচিত ছিল, ভুল সেখানেই হয়ে গেছে প্রথমে। এই সরকার তা করেনি। অথচ উর্ধ্বতন সুবিধাভোগী, লোভাতুর, দেশদ্রোহী কিছু সামরিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ব্যতীত দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জীবন বাজি রাখা, সরকারের পা না চাটা তরুণ যুবক অফিসার-সৈনিক সকলেই সেদিন ছাত্র জনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, যে কারণে এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার স্বাদ। কিন্তু এই সরকারের কিছু ভুলের কারণে আজকে তা বেহাত হবার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে। যে কোন সময়, যেকোনোভাবে হতে পারে আক্রমণ, ধ্বসিয়ে দিতে পারে ডক্টর ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। এমনটা না হোক তা ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা। কিন্তু যদি বাস্তবে এটা ঘটতে যায়, তাহলে আচমকা অপ্রস্তুত ছাত্র-জনতা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? তাই আপাতত আমার ব্যক্তিগত মতামত জানালাম, অন্ততপক্ষে নির্বাচিত সরকার আসার পূর্ব পর্যন্ত যে ছাত্র-জনতা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের নেতৃত্বে রাজধানী সহ প্রতিটি বিভাগে, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি উপজেলায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি মহল্লায় বেসামরিক ভাবে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, যার যাই থাকবে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে, জেলা, উপজেলা এবং এলাকায় ছাত্রদের সমন্বয়ক সাজা ফ্যাসিস্টদের দোসর তথা খুনী ও ফ্যাসিবাদের দোসর ছাত্র ও যুব সংগঠন সহ অন্যান্য যারা ঘাপটি মেরে ছাত্র সমন্বয়ক বা ছাত্রদের নেতৃত্বে রয়েছে তাদেরকে আগে চিহ্নিত করে বের করে দিতে হবে। কারণ সরিষার ভেতর ভূত থাকলে সে ভূত তাড়ানো অসম্ভব। যেমনটা করছেন ডঃ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সরিষার ভেতর ভূত রেখেই সেই সরিষা দিয়েই ভুত তারাতে তারা ব্যস্ত। ১৬ বছরে প্রত্যেকটা সেক্টরে এ টু জেড সাজিয়ে রাখা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে সাথে রেখে তিনি স্বাধীনতার সংসার গোছাতে যাচ্ছেন। আর এই ফাঁকেই ঢুকে পড়বে দেশের মানচিত্র কে ছিন্ন ভিন্ন করে খাওয়া সেই পুরনো শকুন।

নপুংসক বিরোধী দল গুলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে
—————————————————————–

১৬ বছরে খুনি, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের একটি চুলও বাঁকা করতে না পারা বিরোধী দলগুলো যেন ছাত্র-জনতার রক্তের উপর পা দিয়ে এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যারা রক্ত দিতে ভয় পায় তাদের ক্ষমতার লোভ কিসের? তারা তো নিজেদেরকেই বাঁচাতে পারেন না। তাহলে জনগণকে বাঁচাবেন কি করে? ৫ ই আগস্ট যেতে না যেতেই এক একটি দলের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয় যেন তারা স্বাধীনতা অর্জন করে এনেছে। সবগুলো একই পালের গরু বলে মনে হয়। দেশের সর্বোচ্চ দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী, পুলিশ আনসার বিজিবি দেশের অন্যান্য বাহিনীতে তেমন বড় কোন সংস্কার হয়নি, পরিবর্তন হয়নি কোন কিছুর। যা হয়েছে তা কেবল রদবদল, একখান থেকে অন্যখানে। দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্রপতি বিগত সরকারের নির্বাচিত একজন ব্যক্তি। প্রশাসনে থাকা সর্বোচ্চ পদে আসীন ৫০ হাজার কিংবা ১লাখ প্রথম শ্রেণী বা দ্বিতীয় শ্রেণীর এমনকি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাজানো গোছানো স্বৈরাচারের সহযোগী আমলা কর্মকর্তারা রয়েছেন বহাল তবিয়তে, বিগত কোন সরকার পরিবর্তনের পর যেমন সারাদেশে রাজনৈতিক ধরপাকড় কিংবা দুর্নীতিগ্রস্ত, খুনি, অন্যায়কারী, মানুষের সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা ঐ সরকারের সুবিধা ভোগীরা গ্রেপ্তার হয় বা আটক হয় তেমনটা হয়নি। কর্মীরাও রয়েছে বহাল তবিয়তে। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন না করে মাথা মোটা সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। অথচ তারা জানেই না, কত ভয়ংকর দিনগুলো তারা পার করছে তাদের অজান্তেই। তারা জানে না যদি এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ বিফল হতো তাহলে তাদের হাড়গোড় হয়তো এতদিনে অবশিষ্ট থাকত না। হয় বুড়িগঙ্গার জলে, নাহলে মিরপুরের রাস্তার ধারে, কিংবা বিভিন্ন স্থানে গণ কবরের মতো তাদের লাশগুলোও কোন গণ কবরে সমাহিত হতো। অথচ তাদের মধ্যে এ ধরনের কোন চিন্তার বালাই যেন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কোন দল ক্ষমতায় যাবে, কারা বেশি আসন পাবে, এককথায় লুটেপুটে খাবার চিন্তায় তারা যেন ব্যস্ত। এমন দেশের চিন্তা না করা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার চিন্তা না করা রাজনীতিবিদদের জন্য ঘৃণা ছাড়া আমার কাছে আর দেওয়ার মত কিছুই নেই। আগে তো একটা নির্দিষ্ট সময় যেতে দিন, দেশের পাহারাদার হোন, দিবা-রাত্রি ভাগ করে পাহারা দিন, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচনে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত একটু সচেতন থাকুন – এগুলোর কোন বালাই তাদের মধ্যে নেই। এজন্যই শুরুতেই বলেছিলাম মূর্খদের জন্য কি আর হিতোপদেশ দেব? কত দেব নিজের খেয়ে? কিন্তু ওই যে বিবেক, স্বাধীনতার বিবেক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিবেক, লাশের পর লাশ, সারিসারি লাশের স্তূপ দেখা হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সেই বিবেক ক্রমশ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে জন্যই আজকের এই লেখা আবারও লিখলাম। জানিনা কি হবে? এই পাগল পনা জাতির ভাগ্যে ভবিষ্যৎ কি লেখা আছে তা আমার জানা নেই। হয় সচেতন হও না হয় স্বাধীনতা বিকিয়ে দাও। যাও তোমাদের যা ইচ্ছা হয় তাই কর। গোটা ১৮ কোটি মানুষের স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হয়নি। আমি আর কিছুই বলবো না। আবার এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ যদি বিফল হয়, আবার গোলামীর জিঞ্জির ১৮ কোটি মানুষের ঘাড়ে পড়ে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ২০২৪ সালের স্বাধীনতার নায়ক-মহানায়ক ছাত্র সমন্নয়ক-জনতার ঘাড়ে আবারো খচিত হবে “পরাজিত শক্তি” এবং “রাজাকার” নামে এবং তা নিয়ে বন্দী জীবন অথবা মৃত্যু যে কোন কিছু একটা বেছে নিতে হবে – এমন আশঙ্কা করাই যায়।

আবারো কবি নজরুল ইসলামের সেই কথা দিয়েই শেষ করছি—

দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ
ছিরিয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ
এ তুফান ভারী দিতে হবে পারি নিতে হবে তরী পার
দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার,
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুশিয়ার”।

সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট

সব খবর