২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে কারো উপরে প্রতিশোধ নেবেন না তবে নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য অপরাধীকে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তি পেতে হবে।
একইসঙ্গে আইন নিজের হাতে না তুলে নেওয়ারও আহবান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন,‘আমরা ঘোষণা দিয়েছি আমরা কারো ওপর প্রতিশোধ নেবনা। প্রতিশোধ নেওয়ার মানে হচ্ছে আইন হাতে তুলে নেওয়া। তবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবি হচ্ছে, যিনি যে অপরাধ করেছেন নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে এবং সেটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে’।
আজ দুপুরে সিরাজগঞ্জ দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে আয়োজিত রোকন সম্মেলন ও সুধী সমাবেশের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, যুগ যুগ এটা চলতে থাকে। আমরা চাই এই নোংরা কাজের এখানেই পরিসমাপ্তি হোক। যদি আইনের শাসন বাংলাদেশে কায়েম হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আর পথ হারাবে না।
এ সময় রক্ষীবাহিনীর দ্বারা মানুষ খুন, দীর্ঘদিন আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন ও ক্রসফায়ারে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মানুষ হত্যারও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
জেলা জামায়াতের আমীর শাহীনুর আলমের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, অর্থ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ঢাকা দক্ষিনের নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিন, আবু তালেব মন্ডল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
জামায়াত আমীর বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ তার মুক্তির যে পথে উঠেছে, গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত তা চলতে থাকুক। কোনও অপশক্তি যদি বাংলাদেশকে এই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চায় তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত তাদের প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, এখন জাতীয় ঐক্যের বড় প্রয়োজন, জাতির মৌলিক ইস্যুতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল দল তার নিজস্ব জায়গা থেকে রাজনীতি করবে, তার বিবেকের তাড়নায় যা বলার দরকার বলবে, বর্তমান সরকারেরও প্রয়োজনীয় সমালোচনা করবে। আবার সাথে সাথে এই সরকার যেন সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতাও দিবে।
সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দল ও মত ভিন্ন থাকবে, এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এজন্য সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতাও আমাদের থাকতে হবে। যারা সমালোচনা করে তারাইতো আমাদের প্রকৃত বন্ধু। যারা সমালোচনা করেনা, আমার ভুল দেখেও নীরব থাকে তারা আমার বন্ধু হতে পারেনা। আমরা সমালোচনাকে অভিনন্দন জানাই, উৎসাহ যোগাই।