পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে অনেকে সুবিধা নিতে চায়। তবে আমরা তাদের সেই সুযোগ দেব না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে সাম্প্রতিক সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
তিনি আরও বলেন, এখানকার পরিস্থিতি জানতে আমি এখানে এসেছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের কোনো একটি অঞ্চল যদি অশান্তিতে থাকে সেটির প্রভাব পুরো বাংলাদেশে পড়ে। ফলে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। আমরা কিন্তু লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি।
এর আগে গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা শহরের স্লুইসগেইট এলাকায় মামুন নামে এক যুবক গণপিটুনিতে নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দু’পক্ষের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে লারমা স্কয়ারের দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি দোকান। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হন।