পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র দুইজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র দুইজন মেডিকেল অফিসার আউটডোরে রোগী দেখছেন। কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ চার জন মেডিকেল অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।এর ভিতরে প্রায় সময়ই মেডিকেল অফিসাররা ঢাকা, বরিশাল ও পিরোজপুর সহ বিভিন্ন স্থানে ট্রেনিং এ যায়, তখন মাত্র দুই একজন ডাক্তার দ্বারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব পড়েন। কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ৩ শত থেকে ৪ শত রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসে। অনেক সময় রোগীরা ডাক্তার না পেয়ে পার্শ্ববর্তী রাজাপুর, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ ও পিরোজপুর সদরে চলে যান। এক্ষেত্রে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ থাকে না। অনেকেই চিকিৎসার অভাবে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।এই হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কোন রোগী ভর্তি না রেখে পিরোজপুর কিংবা বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসা নিতে আসা পূর্ব আমরাজুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে আমাদের ডাক্তার দেখাতে হলে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ,ফলে আমরা অনেক সময় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে কর্মরত মেডিকেল অফিসাররা রোগীদের বেশি সময় দিতে পারছে না এবং ভর্তি কৃত রোগীদের সবসময় খোঁজ খবর নিতে পারছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার দীপ্ত কুন্ডু বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সাধ্যমত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুজন সাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত প্রয়োজন সংখ্যক চিকিৎসক কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাইনি। তাছাড়া অস্থায়ী ভবনে আমরা ঝুঁকির ভিতরে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। জরুরিভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ না হলে কোন চিকিৎসক কাউখালীতে আসতে চায়না বলে তিনি আমাদের জানান। এবং আসলেও তদবির করে চলে যান।