পিরোজপুরের কাউখালীতে ৮ বছরেও মাদরাসার কাম সাইক্লোন শেল্টার ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নির্মানাধীণ ভবন হস্তান্তরের আগেই ছাদ থেকে পানি পড়ে বিভিন্ন জায়গায় শ্যাওলা পড়ে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখনই ভবনটি ব্যহারের অনুপযোগী। ভবনের ভিতরে এখনও স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, টাইলস ও রং এরসহ এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে মাদরাসা শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান। জানাগেছে, উপজেলার শিয়ালকাঠীতে দারুচ্ছুন্নাত জামিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কামা সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বাস্তবায়ন করেন ২০১৭ সালে। উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, মাদরাসা কাম সাইক্লোন শেল্টার ভবনের কাজ নির্মাণের জন্য ২০১৭ সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু করে ১ বছরের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ৮ বছরেও ভবন নির্মাণ করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী মিরাজুল ইসলাম ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যায়ে এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন। কাজটি ঢিমাতালে করতে গেলে ভবন ব্যবহারতো দূরের কথা হস্তান্তরের আগেই ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে পানি চুয়ে পড়ায় রুমের ভিতরে পানি জমে শ্যাওলা জমে গেছে। অপরদিকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও সদ্য অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মওলানা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই নির্মাণ কাজের শুরুতেই নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং থেমে থেমে ইচ্ছা, খেয়াল-খুশি মতো ইচ্ছামতো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ চালিয়ে যায়। এছাড়াও দীর্ঘ সময় নিয়ে মাদরাসার মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এছাড়াও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় তার মানও নষ্ট হয়ে গেছে। বার বার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি জানাতে তারা তাতে কোন কর্ণপাত করেনি। দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দারুন বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি বাস্তবায়ন করেন আবু সাঈদ মিয়া। সরকার পতনের পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু মিয়ার সঙ্গেও কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। ফলে ভবনটির হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন রাসেল জানান, কয়েক দফা সময় বৃদ্ধি করেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় তাদের ৩য় কিস্তির বিল পরিশোধ করা হয়নি এবং দ্রুত সময়ে মধ্যে বাকি কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে।