সিলেটে বজ্রপাতে একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে সিলেটের জৈন্তাপুর ২ জন, কানাইঘাটে ২ জন এবং সুনামগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন, সিলেটের কানাইঘাটে উপজেলার দলইমাটি গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে নুরুদ্দিন (৬০) ও লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া (২৮), পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার নিজ জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আগফৌদ গ্রামের নূরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩), একই ইউনিয়নের ভিত্রিখেল বড়বন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নন মনই (৪৫) এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর চরপারা গ্রামের মৃত সলতু মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম (৬৫)।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, বজ্রপাতে মারা যাওয়া দুজন পেশায় কৃষক। শনিবার দুপুরে ঝড়োবৃষ্টির সময় পৃথকস্থানে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে আবদুল মান্নান মাঠে কাজ করছিলেন। আর নাহিদ বাড়ির পাশেই একটি স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতে প্রাণ হারান।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম (ওসি) বলেন, বজ্রপাতে নিহতদের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদের সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ ছাড়া একইদিনে দুপুরে সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর চরপারা গ্রামে বজ্রপাতে মারা যান দ্বীন ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় নিজ বাড়ির সামনে চারা জমিতে লাকড়ি তুলতে যান দ্বীন ইসলাম। এ সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম হোসেন বলেন, বাড়ির সামনে চারা জমিতে রোদে দেওয়া লাকড়ি শুকাতে দিয়েছিলেন দ্বীন ইসলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়াতে শুকনো লাকড়িগুলো তুলতে গেলে আকস্মিক বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।