বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের দাবীতে ভাতিজার বাড়িতে অনশনরত চাচিকে মারধর করে টাকা মোবাইল সহ সব প্রমানপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ভাতিজা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার চাচি বর্তমানে নন্দীগ্রাম উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক ভাতিজা উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের পুনাইল গ্রামের মনসুর হোসেন ছেলে রফিকুল ইসলাম রানা পলাতক রয়েছেন। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাপ্ততথ্যে জানাগেছে, গত ৪ বছর পূর্বে লোভী মায়ের সহযোগীতায় ২ সন্তানের জননী চাচির সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রানা। বিয়ের প্রলোভন সহ বিভিন্ন প্রলোভনে আপন ছেলের ঘরে চাচিকে পাঠিয়ে দরজায় পাহাড়া থাকতো লোভী মা। উদ্দেশ্য ছেলেকে দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে চাচির নিকট গচ্ছিত টাকা হাতিয়ে নেয়া। গত ৪টি বছর এভাবেই চলেছে লোভী মায়ের সহযোগীতায় চাচি ভাতিজা প্রেমলীলা। চাচি তার প্রেমিক ভাতিজাকে স্বামী হিসেবে পেতে স্বামীকে দিয়েছেন ডিভোর্চ। পরে শুরু হয় বিয়েতে তালবাহানা। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিয়ের দাবীতে ভাতিজা রানার বাড়িতে অনশনে বসেন চাচি। সন্ধায় বিয়েতে রাজিও হোন প্রেমিক ভাতিজা ও তার পরিবার। তুলে নেন ঘরে। রাতে প্রেমিক জুটি চাচি-ভাতিজা কে থাকতে দেওয়া হয় একি ঘরে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আবারও শুরু হয় প্রেমিক ভাতিজা ও তার পরিবার তালবাহানা। চাচির নিকট দাবী করা হয় যৌতুক হিসেবে ৩ লক্ষ টাকা। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাচিকে অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন প্রেমিক ভাতিজা ও তার পরিবার। ছিনিয়ে নেন চাচির নিকট গচ্ছিত নগত ২০ হাজার টাকা মোবাইল ফোন সহ প্রমানপত্র।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী চাচির সাথে কথা বললে তিনি জানান, রানার মা আমাদের প্রেমের হর্তাকর্তা ছিল। শুধু মাত্র তার মায়ের মিষ্টি কথায় ভুলে তার ছেলে রানার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেছি। গত ৪টি বছর মা ছেলে যা চেয়েছে তাই দিয়েছি। এই পর্যন্ত রানা ও তার মা মিলে আমার কাছ থেকে প্রায় ৬/৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে এবং খেয়েছে। রানা ও তার মায়ের কথায় স্বামীকে ডিভোর্চ পর্যন্ত দিয়েছি। যখন বিয়ের কথা বলছি তখন মা ছেলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেছে। বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবীতে অনশনে এসে মারধর এবং ছিনতাইয়ের কবলে পরেছি।
অভিযোগের সত্যতা শিকার করে অভিযুক্ত প্রেমিক ভাতিজা রানার মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে অপরাধী তাকে ধরে জেল দেন ফাঁসি দেন যা ইচ্ছা করেন। সেই সাথে ছিনিয়ে নেয়া টাকা মোবাইল সহ প্রমানপত্র ছেলে রানার নিকট রয়েছে বলেও জানান অভিযুক্ত রানার মা।
গ্রামবাসী বলেন, মা ছেলে মিলে মেয়েটাকে নিঃস করেছে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান গ্রামবাসী।
এবিষয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে এসআই নাজমুল হক জানান বিষয়টি শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।