ঢাকা, শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, ভোর ৫:০১
বাংলা বাংলা English English
শিরোনাম:
১১ অক্টোবর ২০২৪: আজকের নামাজের সময়সূচি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার দায়িত্ব সবার: ধর্ম উপদেষ্টা মহাসপ্তমী উদযাপন: আজ অষ্টমী পূজা ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের দামে আগুন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সংকটে সাধারণ মানুষ ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা ২০০-এর দোরগোড়ায়, আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার টাইগ্রেসদের সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ টানা দুই হারে পূজায় কোনো বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না: আইজিপি ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাস: তাপমাত্রা স্থিতিশীল, বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সেনাপ্রধানের সঙ্গে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ জেলা প্রশাসক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন

১১ অক্টোবর ২০২৪: আজকের নামাজের সময়সূচি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার দায়িত্ব সবার: ধর্ম উপদেষ্টা মহাসপ্তমী উদযাপন: আজ অষ্টমী পূজা ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের দামে আগুন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সংকটে সাধারণ মানুষ ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা ২০০-এর দোরগোড়ায়, আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার টাইগ্রেসদের সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ টানা দুই হারে পূজায় কোনো বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না: আইজিপি ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাস: তাপমাত্রা স্থিতিশীল, বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সেনাপ্রধানের সঙ্গে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ জেলা প্রশাসক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন
শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ’জনপ্রিয় হাসিনা”কে সরাতেই কি ভারত-মার্কিন উদ্দেশ্য পূরণের “৩য় চোখ” ডঃ ইউনুস?


 এম এ সাঈদ: ডঃ কামাল হোসেন এর মত ডঃ ইউনুসও কি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলবেন?
———————————————————
ডঃ কামাল হোসেন সংবিধানের একজন প্রনেতা বলে রাজনৈতিক প্লাটফর্মে ভোট না থাকলেও ব্যক্তি হিসেবে তিনি বেশ নন্দিত ছিলেন। ২০১৪ সালের নৈশকালীন ভোট বা আওয়ামীলীগের একতরফা নির্বাচনে বিএনপি তথা বিরোধী দল গুলো অংশ না নিলে দলটির জন্য বহির্বিশ্বে একটি খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। সে অবস্থাকে সামলে ওঠার জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে ডঃ কামালের ভূমিকা কারো অজানা নয়। তার সেই ব্যক্তি আস্থার জায়গা থেকেই শেখ হাসিনার পাতানো ফাঁদে পা দেয় বিএনপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। অথচ ডক্টর কামাল হোসেন ছিলেন শেখ হাসিনারই তৃতীয় চোখ বা তার নিয়োগ করা একজন ব্যক্তি যিনি তার নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে কৌশলী ভূমিকা পালন করেন । সেই একই ভূমিকায় কি ডক্টর ইউনুস এখন ভারত ও মার্কিনিদের তৃতীয় চোখ হিসেবে কাজ করছেন? আর মাথামোটা বিরোধী দলগুলো অনুধাবন করতে ব্যর্থ হচ্ছে ক্রমাগত। ফলে গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মৌলিক মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে আবারো ব্যর্থ হবে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। যাদের পরাজয়ের নেতৃত্বে সব সময় ছিল বিরোধী দলগুলোর নির্বুদ্ধিতা, সূক্ষ্ম কূটচাল, ও সুচারু পরিকল্পনাগুলো ধরতে না পারার ব্যর্থতা। ওরা কি সারা জীবন এমন মাথা মোটাই থেকে যাবে? তাদের নেতৃত্বকে সব সময় বাঁচাতে গিয়ে কৃষক শ্রমিক ছাত্র-জনতা সহ ১৮ কোটি মেহনতি মানুষ ক্রমাগত রক্ত দিয়েই চলবে?

উপরোক্ত কথাটি আজকের এই লেখার জন্য প্রাসঙ্গিক ছিল, তাই শুরুটা সেটা দিয়েই করতে হলো। ডক্টর ইউনুস কি ইন্দো মার্কিন উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের অন্তবর্তী কালীন সরকারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন? এমন আশঙ্কা থেকে সে বিষয়ে আজকে আলোচনা না করলেই নয়। শেখ হাসিনার পতন তথা জনরোষের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরবর্তী দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কিংবা আওয়ামী লীগের ইন্ধনে সারা দেশব্যাপী ক্রমাগত যে অস্থিরতা চলছে তা থেকে এটা শুধু অনুমান করাই নয়, যথেষ্ট সন্দেহ ও বিশ্বাস যোগ্য বলে মনে হচ্ছে যে, ডক্টর ইউনুসও কি ডঃ কামাল হোসেনের মতই শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে ইন্দো মার্কিন উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন? শেখ হাসিনার তৃতীয় চোখ ডঃ কামাল হোসেনের মতই কি ডঃ ইউনুসও ইন্দো মার্কিন পরিকল্পনার তৃতীয় চোখ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন?তা না হলে জনরোষের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার নামে লালবাগ থানায় মামলা নিতে পুলিশের ওসির অনীহা, আনসার বিদ্রোহ, অটো রিক্সা বিদ্রোহ, বিভিন্ন স্থানে সমন্বয়কদের উপর হামলা, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যুবককে হত্যা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্ম বিরতি, বিক্ষোভ, ডাক্তার নার্সদের কর্ম বিরতি, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরব বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-আমলা, মন্ত্রণালয় গুলোতে কাজের ধীরগতি, জনরোষের মুখে পড়া এমপি, মন্ত্রী, সরকারি আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার খাতিরে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দান, এরপর ছেড়ে দেয়া, অতঃপর কঠোর নিরাপত্তার পরেও সেই শেখ হাসিনার মন্ত্রী-আমলাদের বিদেশে পলায়ন, বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, হামলা, গোপালগঞ্জে ভয়াবহ হামলা, দলীয় প্রধান ও নেতা মন্ত্রীরা না থাকলেও কর্মীরা সদর্পে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান গুলো বজায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে কৌশলী প্রচারণা চালিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নিজেদের ক্রেডিট নেওয়ার মতো করে কাজ চালিয়ে গেলেও তা বুঝতে বিরোধী দলগুলোর অপারগতা, সর্বশেষ গোপালগঞ্জের বাসিন্দা বায়তুল মোকাররমের খতিব পালিয়ে গেলেও পুনরায় ফিরে এসে সহযোগীদেরকে সাথে নিয়ে বায়তুল মোকাররমকে রণক্ষেত্রে পরিণত করা কিসের ইঙ্গিত বহন করে? এরপরেও কি হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ধ্বজাধারীরা চোখ খুলবেন না?

কেন বাংলাদেশ ভারতের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
————————————————————–

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল তথা সেভেন সিস্টার্স (মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, আসাম, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশ) নিয়ে সবসময় ভারত চরম দুশ্চিন্তায় থাকে। এতদিন শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন নেক ব্যতীত ভারতের এই সাতটি অঙ্গরাজ্যে প্রবেশের আর কোন পথ ছিল না। এই করিডোরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার ও এর প্রস্থ মাত্র ২২ কিলোমিটার। মূল ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারত এই করিডোরের মাধ্যমে যুক্ত। যদি এই করিডোর না থাকতো তাহলে মূল ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতো। অথচ এই সাতটি অঙ্গরাজ্যের একদিকে রয়েছে চীনের দীর্ঘ সীমান্ত অন্যদিকে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত।

 

দীর্ঘদিন ধরেই সেই সেভেন সিস্টার্সের নিরাপত্তার জন্য সেই সাতটি রাজ্য থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে স্বল্প সময়ে পণ্য দ্রব্য, রসদ, সৈন্য ও অস্ত্র সহ যা যা প্রয়োজন তা পরিবহনের নিরাপদ রুটের প্রয়োজন ছিল। ভারতের যে সেভেন সিস্টার্স তা চিকেন নেক দিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্নই বলা যায়, ঐ অংশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের প্রয়োজন ছিল এমন করিডোরের যেটা শেখ হাসিনা বাস্তবায়নও করেছিলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চল বাসীর জন্য কিংবা বাংলাদেশের মানুষের জন্য শেখ হাসিনা নির্মাণ করেছেন এমনটা ভাবলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। শুধু সেটাই নয় ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চল যাওয়ার জন্য অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে বিভিন্ন নিরাপদ রুট হাসিনা উন্মুক্ত করেছিলেন, সেই সাথে ভারতকে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন দেশের সকল স্থল বন্দরের পাশাপাশি নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দরগুলোকেও। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে তিনি বিভিন্ন সময় সেটা প্রকাশ্যেই বলেছেন “ভারতকে যা দিয়েছি তা আজীবন মনে রাখবে”।

এতকিছু করার পরেও কেন শেখ হাসিনা’কে সরাতে মার্কিন ভারত সহমত ?
—————————————————————

যদিও ২০২৪ সালে ১৯৭১ সালের কৃত ভুল মুছে দিতে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দিয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, সেটিও কি আজ বিপন্ন হবার পথে?
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তায় স্বাধীনের(মূলত পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার) পর শেখ মুজিবুর রহমানও কিন্তু ভারতের আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতার একজন প্রতীক ছিলেন। যিনি তিন/চার বছরেই দুর্নীতি, লুটপাট, ভোট চুরি সহ সকল দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে সবচেয়ে অজনপ্রিয় সরকার হলে তাকেও নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। এটিও পাঠক বুঝে নিবেন যে, সেটি কার ইন্ধনে বা কার হাতে হয়েছিল? মেজর ডালিম, কর্নেল ফারুক কিংবা এমন ব্যক্তিরা তো শুধুমাত্র ছিলেন খেলার পুতুল বা যারা স্ট্রাইকার হিসেবে গোল দিয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর শাসনকালে তার শাসন সম্পর্কে কোন খারাপ প্রশ্নের জন্ম না নেয়ার পরেও কেন তাঁকে খুব বেশীদিন বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হয়নি? কেন তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল?

আচ্ছা একটা কথা ভাবুন তো, গোটা বিশ্ব শাসনকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খেয়ে না খেয়ে কেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে পড়ে থাকবে? তাদের কি আর কোন কাজ নেই গোটা বিশ্বে? এ সম্পর্কে একটুও কি মস্তিষ্কে এই প্রশ্নটি আসে না? কেন পরপর তিনটি অবৈধ নির্বাচন হবার পরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা পশ্চিমা বিশ্ব যারা গণতন্ত্র মানবাধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তোলে তারা বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বাংলাদেশের নির্বাচন গুলোর পূর্বে শোরগোল করলেও এই অবৈধ নির্বাচন গুলোকে কেন মেনে নিয়েছিল? জনশ্রুতি অনুযায়ী ২০০৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে শুরু করে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনের পূর্বেও পশ্চিমা বিশ্ব নির্বাচন গুলোর পূর্বে সব সময় সরব থাকলেও কেন তারা নির্বাচন হবার পর সেগুলোর বৈধতা দিয়েছিল? কেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বা আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে এসব অবৈধ নির্বাচনের পরেও গণতন্ত্র রক্ষায় তারা জরুরি কোন পদক্ষেপ নিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেনি? আসলে এগুলির মাধ্যমে তারা জনগণকে প্রত্যেকটি নির্বাচন পূর্ব সময়ে বিপজ্জনক ও ভয়ানক আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। আসলে পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য এখানে ব্যক্তি শেখ হাসিনা, কিংবা খালেদা জিয়া বা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মু. এরশাদ কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের জন্য নয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের জন্যও বিষয়টা তেমনই। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম হলো, বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ, শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা শেখ হাসিনার মতো এত নির্ভরযোগ্য কোন ব্যক্তি বা দল ভারত কিংবা পক্ষান্তরে পরোক্ষভাবে মার্কিনিদের কাছে দ্বিতীয় অপশন হিসেবে ছিল না। যে কারণে তারা সব সময় একই ভাবে বিতর্কিত বা অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হলেও সম্পূর্ণরূপে সমর্থন, সহযোগিতার পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্ব ম্যানেজ করেই চলছিল। বলতে পারেন তাহলে সেই বিকল্প না থাকার পরেও কেন শেখ হাসিনাকে ২০২৪ এ সরানো হলো? উত্তর হল যে, একই কারণে শেখ মুজিবুর রহমানকেও ১৯৭৫ সালে সরানো হয়েছিল অজনপ্রিয় হওয়ার কারণে। যেমনটি খেলার মাঠের স্ট্রাইকার যখন অকার্যকর হয় বা গোল দেয়ার সক্ষমতা হারায় তখন সেই স্ট্রাইকারকে সরিয়ে দিয়ে নতুন স্ট্রাইকার সম্মুখ সমরে দেয়া হয় যাতে ঠিকঠাক মত গোল দিতে পারে।

 

 

২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার যে বিস্ফোরণ সেটিকে সামাল দেয়া ভারত কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের জন্যই গণতান্ত্রিক পন্থায় সম্ভব ছিল না। আর তখনই চলে আসে ঐতিহ্যগতভাবেই ভারত নিয়ন্ত্রিত এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সর্বজনবিদিত একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করার প্রশ্নের। আর হয়তোবা তখন এই ছাত্র-জনতা-ই মনোনীত করে (ইন্দো মার্কিনীদের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী) নোবেল বিজয়ী সর্বজনবিদিত, (একমাত্র শেখ হাসিনা ও তার অন্ধ লেসপেন্সার বাদে) বিশ্বের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কে। যদি প্রশ্ন করি, ডক্টর ইউনুস ছাড়া কি বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতিতে এমন কোন সর্বজনবিদিত ব্যক্তি রাজনীতির হাল ধরতে পারে তেমন কোন লোক কি ছিল না বাংলাদেশে? তবে কেন বসানো হলো ডক্টর ইউনুসকে?

মাথামোটা রাজনীতিকরা চিন্তা করবেন উপরের অংশটি বিচার করার জন্য যে, আপাত দৃষ্টিতে এক নায়ক, স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট, জগদ্দল পাথর নেমে গেছে, শেখ হাসিনা তো বিদায় হয়েছে, ডক্টর ইউনুস সেই অপশনের দিক দিয়ে একজন ভালো মানুষ, তিনি দ্রুতই অর্থনীতির চাকা সচল করতে পারবেন, তার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা অনেকগুলো মামলা করেছিলেন, তাকে বিরক্ত করেছিলেন, সেই ব্যক্তি অবশ্যই শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগের জন্য ভালো কিছু চিন্তা করবেন না। অর্থাৎ এই বিরোধী দল গুলোর কাছে তিনি মন্দের ভালো। কিন্তু এতে কাদের উদ্দেশ্য সুক্ষভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সেই গভীরে তারা অনুপ্রবেশ করতে হয়তো পারবেন কিনা জানিনা, কারণ যদি পারতেন-ই তাহলে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর থেকে ১৬ বছর একনায়ক, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ দেশ শাসন করতে পারত না। অনেক আগেই তার পতন হতো। এবার সেই মাথামোটা বিরোধী দল গুলোকে যদি প্রশ্ন করা হয়, যেই “প্রথম আলো” পত্রিকাটি কে (একই পর্ষদের চলা ডেইলি স্টার) কেন আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তার দৃশ্যমান সকল স্থানে নিষিদ্ধ করেছিল। সেই প্রথম আলো কি বিএনপি জামায়াত বা সকল বিরোধীদল কিংবা স্বৈরাচার বিরোধী জনগণের পক্ষের কোন দৈনিক পত্রিকা? কোন কালে তা ছিল নাকি হবে? নাকি পুরোপুরি বামপন্থী এবং আওয়ামী লীগ ঘরানার? নাকি শেখ হাসিনা বিরোধী কাজের উদ্দেশ্যে এবং বিরোধী দলগুলোর পক্ষে কাজ করার জন্য ছিল? সমঝদার কে লিয়ে ইশারা কাফি হ্যায়। ঠিক এখন ক্ষমতায় না থাকায় শেখ হাসিনা কিংবা তার আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারের কি কোন নেগেটিভ রিপোর্ট কিংবা দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, কোটি কোটি টাকা পাচারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পত্রিকাটি কি ধারাবাহিক প্রকাশ করছে? নাকি ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ফলে জনরোষের মুখে ঘটা ঘটনাগুলোর ক্রমাগত কৌশলী সমালোচনা করছে – ভাবুন তো? অর্থাৎ এটি যেমন শেখ হাসিনার একটি “তৃতীয় চোখ” ছিল, অর্থাৎ, যখন তিনি থাকবেন না তখন যাতে এটি গণমানুষের নির্ভরযোগ্যতা ও আস্থার প্রতীক হয়ে মানুষের মধ্যে তার ছায়া হয়ে থাকতে পারে সে কারণে তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন এদেরকে নিষিদ্ধ করেছিলেন যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে এটি জনতার পক্ষের দৈনিক। এবং সে কারণে এটি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ছাড়া অন্যান্য কিছু তথ্যগত বিষয়ে কৌশলে নিরপেক্ষভাবে প্রচার করে জনপ্রিয়ও হয়েছিল। যার এরুপ “তৃতীয় চোখে”র কাজ হবে- যখন তিনি বিপদে পড়বেন বা ক্ষমতার মসনদ হারাবেন তখন যাতে এই তৃতীয় চোখ তার ছায়া হিসেবে তার পক্ষে কাজ চালিয়ে যেতে পারে তার পুনরাগমনের জন্য। এমন কিছু ব্যক্তি, কিছু বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিও ছিলেন, বিশেষ করে টকশো করতেন কিংবা ইউটিউবার হিসেবে পরিচিত ছিলেন যাদের নাম নিচ্ছি না, যারা ক্রমাগত শেখ হাসিনা সরকারের সময় ধারাবাহিকভাবে তার সমালোচনা করতেন অথচ তাদের গায়ে একটা ফুলের টোকাও লাগেনি, অথচ সত্যিকার অর্থেই যারা দেশ প্রেমিক ছিলেন, শেখ হাসিনার দূঃশাসনকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তার সামান্য সমালোচনা টুকুও সহ্য না করতে পেরে এই ফ্যাসিস্ট সরকার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে সকলকেই আইসিটি আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে বছরের পর বছর নির্যাতন, গুম, খুন, এমনকি আয়না করে রেখে তার পরিণতি ভোগ করাতেন। অথচ সেই সময় সদর্পে বিরোধিতা করা সেই সরকারের তৃতীয় চোখ হিসেবে কাজ করা লোকগুলোই শেখ হাসিনার পতনের পর জনরোষের মুখে ঘটা ঘটনাগুলোর সমালোচনা করতে একবিন্দুও ছাড় দেননি অর্থাৎ এরাই “তৃতীয় চোখ” যারা বিপদকালীন বা আপৎকালীন বন্ধু হিসেবে কাজ করে।

 

 

ভারত মার্কিন এর “তৃতীয় চোখ” কেন হবেন ডঃ ইউনুস? তাদের উদ্দেশ্য ও স্বার্থই কি তার প্রাধান্যের বিষয়?
—————————————————————-

আপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র যদিও মনে করে ভারত তাদের দক্ষিণ এশিয়া বা এই অঞ্চলের নির্ভরযোগ্য মিত্র এবং বিশ্ব শাসনকারী কর্তৃপক্ষের “এশিয়ান চোখ” সে ক্ষেত্রে তারা সে কারণেই তাদের বন্ধু বা মিত্র ভারতের নিরাপত্তা দেয়ার মাধ্যমে এবং বৃহৎ এই মহারাষ্ট্রটির কর্তৃত্বের মাধ্যমে তাদের অপর পরাশক্তি চীনকে ঠেকানোই মূলত এই অঞ্চলের মূল লক্ষ্য। যদিও বা ভারত বিভিন্ন সময়ে এই বিশ্বস্ততার মর্যাদা রাখতে পারেনি। কারণ রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়ান পণ্যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও ভারত কিন্তু সেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে পিছপা হয়নি। কিংবা রাশিয়ান সৈন্যদের জন্য জুতা সরবরাহ করতেও দ্বিধা করেনি।এমনকি যুদ্ধ চলাকালে পশ্চিমা চোখকে উপেক্ষা করে সেই দেশ সফর করা ঠিক না হলেও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেন সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাতেও পশ্চিমা বিশ্বের হাত ছিল কিনা সেটা এত ছোট মাথায় অনুমান নির্ভর বলা সম্ভব নয়। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে তার নির্ভরযোগ্য বন্ধু মনে করলেও ভারত কিন্তু দুদিকেই তাল সামলে চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু হিসেবে হাতে রাখছে আর সম্পর্কের গভীরতা বাড়াচ্ছে রাশিয়ার সাথে। বিষয়টি পরকীয়া প্রেমের মতোই বলা যায়। যা কিছুদিন পূর্বে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও ভারত ও চীনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার মতোই অনেকটা।

 

 

মূলত ঐতিহাসিকভাবে ভারত রাশিয়ার একনিষ্ঠ বন্ধু সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতদিনে বুঝবে ততদিনে হয়তো চীন এই অঞ্চলে তার বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ বাস্তবায়ন করে ফেলতে পারে এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়ার উপায় নেই। কারণ ভারত ইতিমধ্যে তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণের পরিবর্তে তাদের উপর ক্রমাগত আধিপত্যবাদ বজায় রাখার কারণে প্রতিবেশী এসব রাষ্ট্রের সমর্থন হারানো থেকে শুরু করে শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সে অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হয়তো ভারতকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে দেখভালের দায়িত্ব আপাতত না দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব নিজের থেকেই সে কাজটি করতে চলেছে যাতে ভারত এখন দর্শকের ভূমিকায় থাকলেও উদ্দেশ্য মূলত তাদের উভয়ের একই। আগে ভারত খেলত যেখানে দর্শক ছিল যুক্তরাষ্ট্র, আর এখন যুক্তরাষ্ট্র খেলবে আর দর্শক সারিতে থাকবে ভারত। অবস্থাটা আদতে এমনই। অর্থাৎ এই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতির বিরোধিতা করা এবং যতটা সম্ভব চীনের পরাশক্তির ক্রমাগত বিস্তীর্ণ হাতকে গুটিয়ে ফেলাই তাদের উদ্দেশ্য। তার জন্য আগে হয়তো ভারত কাজ করছিল যখন শেখ হাসিনার অতিরঞ্জিত ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করার কারণে ব্যর্থ হওয়ায় তা এখন পশ্চিমা বিশ্ব নিজেরাই করবে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়ার কোন কারণ আছে বলে মনে হয় না।

 

 

তা না হলে যে শেখ হাসিনাকে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পলায়ন করতে হয় সেই শেখ হাসিনার কাটা ছেঁড়া করে গড়া সংবিধানের অধীনে কেন ডঃ ইউনুস তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করবেন? কেনই বা সেই আওয়ামীলীগের দলীয় ও মনোনীত রাষ্ট্রপতির অধীনে তারা দেশ পরিচালনা করবেন? কেনই বা তার উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকেই সেই বাকশালী, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্টদের আইকনের ছবি এখনও মাথার উপর রেখে দেশ পরিচালনা করবেন? কেনই বা এই ধারাবাহিক বিশৃঙ্খলা গুলো দেড় মাস পরেও চলতে থাকবে? কেনই বা এখনও প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেন না অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা তথা তার পরিষদ বর্গ? কাজেই এক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুধাবন করে কি এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ নেই যে, তিনি বা তারা “তৃতীয় চোখ” হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন? বৃহৎ পরাশক্তি গুলোর দ্বন্দ্বের জেরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী ১৮ কোটি মানুষের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের জন্য বা স্বাধীনতার জন্য দেয়া হাজারো ছাত্র-জনতার তাজা খুনের রক্ত কি তাহলে বৃথা যাবে ? আবারো দীর্ঘমেয়াদী পরাধীনতার শৃঙ্খল পড়বে ১৮ কোটি ছাত্র জনতা? এমন আশঙ্কা করাও কি অমূলক হবে?

স্বাধীনচেতা বাংলাদেশিদের মনে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন বাংলাদেশের ১৮ কোটি ছাত্র জনতা বিশ্ব পরাশক্তি গুলোর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নিজের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মানবিক মর্যাদা, ভৌগলিক অখন্ডতা চিরকাল বিসর্জন দিতেই থাকবে? এমন প্রশ্ন কি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার জন্য যারা রাজনীতি করেন তাদের মস্তিষ্কে উদয় হয় না? এমন প্রশ্ন করা কি অমূলক হবে?

তবে কি আশা ছেড়ে দেবে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দিয়ে অর্জিত ২য় মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধারা?
—————————————————————-

আমরা স্বপ্ন প্রিয় বাংলাদেশী জাতি। সব সময় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, স্বপ্ন দেখি উদিত সূর্যের আলোর, স্বপ্ন দেখি সুন্দর একটা সমাজ বিনির্মাণের, স্বপ্ন দেখি বৈষম্যহীন সমাজের যেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে এমন বিচারালয়ের, স্বপ্ন দেখি আইনের হাতে বেআইনিভাবে কোন মানুষ আর নির্যাতিত, নিপীড়িত না হবে, এমনটা বাস্তবে হলেই কেবল আশা নিয়ে বেঁচে থাকা এই জাতির বা ১৮ কোটি বাংলাদেশীর স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত হবে, পূরণ হবে হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার কাঙ্খিত লক্ষ্য। ডক্টর ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তেমন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন বা করবেন এমন আশা থেকেই বলা যায়, উপরোক্ত স্বাধীনতা হীনতার আশঙ্কা গুলো যেন কোনভাবেই ডক্টর ইউনুস এবং তার উপদেষ্টা মন্ডলীর কারও দ্বারা সত্যি না হয়। রক্ষা পায় ডক্টর ইউনুসের মতো পৃথিবীখ্যাত, জননন্দিত একজন নোবেল বিজয়ীর নোবেলের সম্মান ও মর্যাদা এমন প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। কেননা জগৎ বিখ্যাত একজন মানুষ একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে স্বল্প সময়ের জন্য সরকার প্রধানে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা পৃথিবী খ্যাত, এই সজ্জন ব্যক্তি নিজ দেশের ক্রান্তিকালে দেশের হাল ধরে দেশকে সঠিক পথের দিশা না দিয়ে কোন ভুলের মাধ্যমে নিজের সম্মান হারানোর পাশাপাশি বিরল অর্জন নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ধুলোয় মিশিয়ে দেবেন কিংবা সেই মর্যাদা হারাবেন এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই বলে এখন পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার শপথ বুকে লালন করা মুক্তিকামী প্রতিটি মানুষ মনে প্রানে বিশ্বাস করে। আর সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা ডক্টর ইউনুস করবেন এমনটা কেউ প্রত্যাশা করেন না।

সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট

সব খবর