বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত ৫ আগস্টের বিজয়ে ছাত্র-যুবক সকলের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভূমিকা, সঠিক নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের আপামর জনগণ আজ নতুন স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে, প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন তারেক রহমান। অনেকেই অনেক কথা বলেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু তারেক রহমান বলেছিলেন নির্বাচন বর্জন করতে হবে। আজ পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে শেখ হাসিনার পালাতে হতো না। তারেক রহমানের সঠিক সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী সরকারকে পালাতে বাধ্য করেছে।
এনায়েতপুরবাসীকে ফরাসি বিপ্লবের বিজয়ীদের সঙ্গে তুলনা করে তিনি আরও বলেন, গত ৪ আগস্ট এনায়েতপুরে পুলিশের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ হয়েছে। সেই যুদ্ধে এনায়েতপুরবাসী বিজয়ী হয়েছে, পুলিশ পরাজিত হয়েছে।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভানেত্রী রোমানা মাহমুদ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, উপদেষ্টা ড. এম এ মুহিত, বেলকুচি উপজেলার আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলতাব প্রামাণিক, এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মন্টু সরকার, চৌহালী উপজেলার সভাপতি জাহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ময়নাল ক্বারী, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আবদুল জব্বার বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল কায়েস, ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হাসি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনি আমিন ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জু সিকদারের সঞ্চালনায় ঐতিহাসিক এই স্মরণসভায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।