ঢাকা, শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, সন্ধ্যা ৬:১৩
বাংলা বাংলা English English

শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলীপুরে ট্রলারে এলো ১০২ মণ ইলিশ, ১৯ লাখ টাকায় বিক্রি


কুয়াকাটা: ১০২ মণ ইলিশ নিয়ে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি মাছ ধরা ট্রলার। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স কামাল ফিস নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়। পরে মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ১৯ লাখ ২০ হাজার ৩০০ টাকায়। ট্রলারটি ঘাটে ফিরে আসার পর মাছের খবর শুনে উৎসব জনতা ভিড় করেছে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফ বি নাহিদা আক্তার নামের মাছ ধরা ট্রলারটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর আলীপুর ঘাট থেকে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। তিন দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছ পাইনি। বৃহস্পতিবার জাল ফেলে ১০২ মণ মাছ পেয়েছে। মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। তবে মাছের সাইজ ছোট হওয়ায় দাম কম পেয়েছে। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ২৫ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২০ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ তিন লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ লাখ ২০ হাজার তিনশ টাকা হয়েছে। মাছগুলো মূলত বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯৫ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।

ট্রলারের মাঝি আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, ৫ দিন (১৬ সেপ্টেম্বর) আগে আমরা ২০ জন জেলে মাছ ধরতে সাগরে যাই। প্রথম দিকে তেমন একটা মাছ পাচ্ছিলাম না, অনেকটা হতাশা নিয়েই সাগরে জাল মারছিলাম। এইভাবে মারতে মারতে আরও একটু গভীরে গিয়ে জাল ফেলার পর সেখানে আমাদের জালে ইলিশের একটি ঝাঁক ধরা পরে। ট্রলার বোঝাই করে আমরা ঘাটের দিকে ফিরে আসি। মাছের সাইজ বড় হলে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা বিক্রি হতো।

এফ বি নাহিদা আক্তার ট্রলারের মালিক আব্দুল মান্নান বেপারি বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

আলীপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী কামাল বেপারী বলেন, এই ট্রলারটি চলতি মৌসুমে তেমন একটা মাছ পায়নি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা দশদিন ঘাটে বসে ছিল। আবহাওয়া মাছ ধরার অনুকূলে আসলে ট্রলারটি সমুদ্রে যায় গত সোমবার। আলহামদুলিল্লাহ ১০২ মণ মাছ নিয়ে ঘাটে এসেছে। আশা করি সমুদ্রে থাকা সব জেলারাই ভালো মাছ পাবেন।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা বন্দরে অবস্থান‌ করছিল। বর্তমানে আবহাওয়া মাছ ধরার অনুকূলে আছে। আশা করছি প্রত্যেকটি ট্রলারে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মাছ ধরা পড়বে।

সব খবর