আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সেশনজট নিয়ে একটু বেশি অভিযোগ থাকে। যদিও প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত সেশন জটের ঝামেলা থাকে না। তবে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেই অধিকাংশ সময়েই এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকল সেশনের শিক্ষার্থীদের। যার ফলে নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় দিতে হচ্ছে শিক্ষা জীবনে। এতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী। বিশেষ করে আমাদের দেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ বছর। এক্ষেত্রে দেখা গেছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ালেখা শেষ করতে প্রায় চাকরির বয়স শেষ হয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েন। জীবনের বেশির ভাগ সময় শিক্ষায় দিয়েও দিন শেষে অনেক শিক্ষার্থীদের হার মানতে হচ্ছে। যার মূল কারণ বয়স! শিক্ষা জীবন শেষ করে প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরি করার প্রত্যাশা থাকে। আর যখন বয়সের কারণে ব্যর্থ হয়ে যায় তখন অনেকে আত্মহত্যারও সিদ্ধান্ত নেয়। তাই সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা পরিবর্তন আনাটা জরুরি হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনটি যৌক্তিক বলে মনে করছি আমি। এতে কোনো ছলচাতুরী নেই। পৃথিবীর বহু দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নির্ধারিত বয়সসীমা নেই। শারীরিক স্বাস্থ্য সমর্থন করলে যে কোনো বয়সে যে কেউ চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে। বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ করা হয়েছিল। দৈনিক খবরাখবর থেকে জানা যায়, একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরের নিচে নেই। সারা বিশ^ চাকরির ক্ষেত্রে যেভাবে হাঁটছে আমাদের দেশও একই পথে হাঁটুক এটাই জনগণের প্রত্যাশা। তাই প্রয়োজন এখনি একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার। সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়াটা যৌক্তিক বলে আমি মনে করছি। আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব দ্রুত এই বিষয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে একটি ঘোষণা দিয়ে তাদের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবেন।