ভোলার মনপুরা লঞ্চঘাটে তাসরিফ-১ লঞ্চে হামলা চালিয়ে লঞ্চের ৫ স্টাফকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফারহান – ৪ লঞ্চের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর মনপুরা লঞ্চ ঘাটে হামলার এঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন,তাসরিফ -১ লঞ্চের স্টাফ রাজিব, হেলাল, সোহাগ, শাহিন ও জাকির। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাজিবকে বৃহস্পতিবার রাতে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা দৌলতখান হাসপাতালে গেলে আহত রাজিব জানান, হাতিয়া থেকে ছেড়ে আসা তাসরিফ-১ লঞ্চটি দুপুর ১ টার দিকে মনপুরা লঞ্চঘাটে পৌছে। এসময় লঞ্চটি ঘাটে ভিরতে চেষ্টা করলে ফারহান-৪ লঞ্চের স্টাফরা বাধা দেয়। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও ঘাটে ফারহান লঞ্চটি অবস্থান করে লঞ্চে মাছের ঝুড়ি উঠানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। ফারহান লঞ্চের এমন ঘটনায় তাসরিফ-১ লঞ্চের যাত্রী সাধারণ ও স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে ফারহান-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার গাজীর নেতৃত্বে স্থানীয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তাসরিফ লঞ্চের যাত্রী ও স্টাফদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। এতে লঞ্চের ৫ জন স্টাফ আহত হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লঞ্চ ঘাটের কয়েকজন প্রতক্ষদর্শী বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরেও ফারহান লঞ্চটি ঘাটে অবস্থান করছিলো। এসময় তাসরিফ -১ লঞ্চটি ঘাটে ভিরতে চেষ্টা করলে ফারহান লঞ্চের স্টাফরা তাসরিফ লঞ্চে বেপরোয়া ভাবে হামলা চালায়। ঘাটের স্থানীয় একব্যক্তি বলেন, বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তার শেল্টারে ফারহান লঞ্চের স্টাফরা দিন দিন লঞ্চ চলাচলে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এব্যাপারে ফারহান -৪ লঞ্চের সুপারভাইজার গাজির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।