শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো চোখে দেখতে পারছেন না চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী সেলিম তালুকদার। যেকারণে দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন। অথচ কলেজের উপস্থিতি খাতায় অন্য লোক সেলিম তালুকদারের নামে স্বাক্ষর করে প্রতি মাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করে নিচ্ছেন।
তবে সেই বেতনের টাকা যাচ্ছে কার পকেটে, তার কোন সঠিক তথ্য নেই কলেজ অধ্যক্ষর কাছে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক অভিভাবক সদস্য মতিউর রহমান ঝন্টু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে সেলিম তালুকদার ওই কলেজে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। প্রায় আট বছর পর্যন্ত তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো চোখে দেখতে পাঁচ্ছেন না। আর এ কারণেই তিনি কর্মস্থলে না এসে বাড়িতে থাকেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কলেজের উপস্থিতি খাতায় সেলিম তালুকদারের নামেই আট বছর ধরে অন্যকোন এক ব্যক্তি স্বাক্ষর করে রীতিমতো বেতন-ভাতা উত্তোলন করে নিচ্ছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অতিসম্প্রতি কলেজ গভর্নিং বডির সভায় বিষয়টি উপস্থাপনের পর কমিটির একাধিক সদস্যরা বিষয়টি এরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সেলিম তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো চোখে দেখতে পাঁচ্ছিনা। তাই কর্মস্থলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, আটবছরে আমি কোন খাতায় স্বাক্ষর করিনি, এমনকি মাসিক কোন বেতনও পাইনি। কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আবু জাফর বলেন, গভর্নিং বডির পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।