আদালতে দায়ের করা মামলার রায়ে পাঁচ বছর পর বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমির প্রধানশিক্ষকের পদে পুনর্বহাল হলেন যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার রোষানলে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। তিনি (যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি) স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সারাদেশের ন্যায় যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রিও উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম খানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমির প্রধানশিক্ষক যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রিকে স্বপদে বহাল এবং সাময়িক বরখাস্তকালীন সমুদয় বেতন ভাতাদি পরিশোধ করার জন্য আদেশ দেওয়া হলো।
প্রধানশিক্ষক হিসেবে পুনরায় স্বপদে ফেরা যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি শুক্রবার সকালে বলেন, পাঁচ বছর আগে আমাকে অন্যায়ভাবে বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমি প্রধানশিক্ষকের পদ ফিরে পেতে আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। পরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে আমি চাকরি ফিরে পেয়েছি। এরপর বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আমি স্কুলে যোগদান করেছি।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাত্রীদের কমন রুমের টয়লেটে প্রবেশ পথের ওপরের দেয়ালে স্থাপন করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। পরবর্তীতে ওইসব নেতার রোষানলে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের এডহক পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জরুরি সভা করে যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রিকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতাদের ইন্ধনে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী খায়রুল বাশার বাপ্পি বাদি হয়ে প্রধানশিক্ষক যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ছবি অবমাননার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিটও দায়ের করেছিলেন।