রাজবাড়ী জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক রাজবাড়ী কণ্ঠ’র প্রকাশক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে রাজবাড়ীর সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে পুলিশ সুপারের নিকটও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন, রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ্যাড. খান মোঃ জহুরুল হক। এসময় জেলার ৫টি উপজেলার শতাধিক প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলেন, রাজবাড়ী জেলা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত দৈনিক রাজবাড়ী কণ্ঠ পত্রিকার প্রকাশক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান পত্রিকাটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দলনিরপেক্ষ একটি সংবাদ পত্রের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন। শুধুমাত্র পত্রিকার প্রকাশনাই নয়, একজন নিঃস্বার্থ সমাজ সেবক এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে তিনি এতদ্বঞ্চলের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সহ জনহিতকর কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন” গত ৫ আগস্ট তিনি রাজধানী ঢাকার উত্তরায় সক্রিয় অংশগ্রহণ, নিজের অর্থে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মধ্যে খাবার পানি ও কোমল পানীয় বিতরণ এবং রাজধানী ঢাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে শাহাদতবরণকারী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বীর ছাত্র শহীদ সাগরের কবর জিয়ারত এবং তার কবরের পাশে একটি স্মৃতিজ্ঞ ও তোরণ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একজন সত্রিনয় সমর্থক হিসেবে বিভিন্নভাবে অংশগ্রহণের পরও একটি স্বার্থান্বেষী মহল ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসে প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খানকে উদ্দেশ্যমূলক রাজধানী ঢাকার মিরপুর, সাভার থানার দু’টি মামলায় আসামীর শ্রেণীভূক্ত করা হয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ীর কালুখালী সহ বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখে মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা রাজবাড়ীর সাংবাদিক সমাজ সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় কোন ব্যক্তি জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের কোন কথা নেই। কিন্তু কোন ঘটনার সাথে ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় আমরা হতবাক ও বিস্মিত। কারণ প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান নিজের চোঁখের চিকিৎসার জন্য গত ১৯ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং উমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে গত ৬ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট’ পর্যন্ত সময়কাল দেশের বাহিরে অবস্থান করেন। কিন্তু দেশের বাইরে অবস্থানকালীন সময়ের ঘটনা উল্লেখে মামলা দায়ের ও আসামীর শ্রেণীভুক্ত করার ঘটনা সত্যিই অনভিপ্রেত। রাজবাড়ীর সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে উল্লেখিত মামলা সমূহ থেকে অব্যাহতির দাবী জানাচ্ছি। নইলে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।