বরগুনার আমতলীতে মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি,খুন জখমসহ বাড়ি ঘরে শান্তিতে থাকিতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন বিধবা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চাউলা গ্রামে সোবাহান মিয়ার ছেলে সবুজের সাথে ২৫ হাজার টাকা ধার নেয়া কেন্দ্র করে বিরোধ জের ধরিয়া বেগমের ছেলের সাথে বিভিন্ন শত্রুতা জেরে মারধর করিয়া গুরুতর জখম করে এবং আমার ছেলের নিকট থাকা ডেকরেটরের মালামাল নগদ ৭০,০০০/- টাকা নিয়া যায়। অতঃপর বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার ৬৭৫/২৪ (আম), তাং ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২) পিসি।
এবিষয়ে বৃদ্ধবিধবা বেগম বলেন, উক্ত মামলা দায়ের করার পর হইতেই চাউলা গ্রামের মোঃ ছোবাহান মিয়ার ছেলে মোঃ সবুজ মিয়া (৩০), মোঃ নাজমুল মিয়া (২৭), মোঃ মইন উদ্দিন (২৪), মোঃ আল আমিন (২১) আমাকে বিভিন্ন সময় মামলা তুলিয়া নেওয়ার জন্য ভয়ভীতির হুমকি দিয়া আসিতেছিল। এবং আমাদেরকে মামলা তুলিয়া নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।আমাদেরকে মামলা তুলিয়া না নিলে খুন জখমসহ বাড়ি ঘরে শান্তিতে থাকিতে দিবে না বলিয়া হুমকি দিয়া আসিতেছে। একপর্যায় বিবাদীরা আমার নিকট হইতে জোর পূর্বক ৩টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। উক্ত বিষয় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে বিবাদীরা স্ট্যাম্প ছিড়িয়া ফালায়। কিন্তু বিবাদীরা সালিশিতে বসে নাই। ঘটনার দিন ইং ১০/০৯/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ৮.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন আমাকে আমার বাড়ির সামনে পাইয়া আমার সাথে অনর্থক ঝগড়া তর্কের সৃষ্টি করিয়া অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং আমার দায়েরকৃত উক্ত মামলা তুলিয়া নিতে বলে। আমি মামলা তুলিয়া নিতে অস্বীকার করিলে বিবাদীগণ আমাকে খুন জখম করার জন্য দা, লাঠি সোটা নিয়া আগাইয়া আসিলে আমি প্রাণের ভয়ে ডাক চিৎকার করিলে বর্নিত সাক্ষীগণসহ আরো বহু লোকজন আসিয়া আমাকে প্রাণে বাচায়। বিবাদীগণ সাক্ষীগণের সামনে, আমি মামলা তুলিয়া না নিলে আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যদেরকে ও আমার মামলার সাক্ষীদেরকে খুন জখমসহ আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়া হয়রানী করিবে এবং আমাদেরকে বাড়ি ঘরে শান্তিতে বসবাস করিতে দিবে না