ঢাকা, শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, সন্ধ্যা ৬:১৬
বাংলা বাংলা English English

শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরফ্যাশন শশীভুষনে রাতের আধারে প্রবাসীর খামার মাছ লুটপাট


ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষন থানাধীন জাহানপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড,মাঝি বাড়ির আব্দুল জব্বার মাঝির ছেলে প্রবাসী নুরুল ইসলাম এর খামারের মাছ রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী মোঃ নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন।
গত ৫ আগষ্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার সময় আমার বাড়িতে একদল লোক এসে প্রথমে ২ লাখ পরে ৩ লাখ মোট ৫ লাখ টাকা চাদা দাবি করে,এবং আমাকে মাড়ার হুমকি দিলে আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে স্থানীয় খাসের হার্ট চৌমাথা দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে কামাল পিতা কুট্টি খন্দকার এর নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন লোক আমাকে আটকিয়ে
আমার মোবাইল ও নগত ৭০০০ টাকা নিয়ে যায় এবং আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আটকিয়ে রাখেন,এবং
লোকের মাধ্যমে বাড়ি থেকে আরো ২০০০০ টাকা এনে দিলে আমাকে ছেড়ে দেয়।
সেখান উদ্ধার হয়ে আমি মেম্বার বাড়িতে আশ্রয় নিলে
দ্বিতীয় ধাপে সাহিন দফাদারের নেতৃত্বে
আমিন মেম্বার বাড়িতে আটকিয়ে চাদা দাবী করেন আরো ৫ লাখ টাকা,সেখানে আমি প্রশ্ন করলাম আমার অপরাধ তুমি আওয়ামিলীগ করছো আর কোন কথা বলতে পারবো না এমতো অবস্থায় আমিন মেম্বার ও নেসার কাজির মধ্যস্থতায়
৭০০০০ টাকা দিয়ে উদ্ধার হই।৩য় ধাপে আল মদিনা মসজিদের সামনে থেকে কোটি মাঝি
বাড়ির আলী ও সাইফুল
এবং ছালেম সহ অজ্ঞাত
কয়েকজনের নেতৃত্বে
আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।
৪র্থ দাপে যখন আমাকে সন্ত্রাসীরা আটকিয়ে পেলে
তখন আমার মা কান্নাকাটি করে ঘর থেকে বের হলে
মন্নান মাঝি,তার ছেলে সহিদ,তার স্ত্রী কুলসুম,পুত্রবধূ লিমা,
আব্বাছ পিতা মুগবুল মাঝি,
তার স্ত্রী খাদিজা,
আলম পিতা আলী আহামেদ মাঝি,শাহানাজ জজে আলম,ছালেহা উরপে চন্দ্রবান গং এর নেতৃত্বে
আমার ঘর লুটপাট করে
১ জোরা হাতের চূড়ি,কানের দুল,গলার নেখলেছ,আংটি ৮ টা,ছেলের দুইটা
চেইন,৪ টা আমার হাতের ব্যাচ লাইট ১ টা সহ সর্বমোট ১১ ভড়ি স্বর্ণ
ও নগদ টাকা ৩ লাখ সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার
মালামাল ও দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে যায়।

৫ তম ধাপে সহিদ পিতা মন্নান মাঝি, মন্নান মাঝি পিতা ইদ্রিস আলী মাঝি, ছালেম মাঝি,
আলম মাঝি পিতা আলী আহম্মেদ মাঝি সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নেতৃত্বে,আমার খামারের আনুমানিক
৫ লাখ টাকার মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
৬ তম ১ সহিদ পিতা মন্নান মাঝি (২) কোটি মাঝি বাড়ির আলি (৩) চানশরীফ পিতা ইসলাম আলী মালতীয়া
(৪) মন্নান মাঝি পিতা ইদ্রিস আলী মাঝি (৫) কামাল পিতা জব্বার হাজী (৭) ছালেম মাঝি পিতা আলী আহম্মেদ মাঝি এদের নেতৃত্বে ৫ লাখ টাকা চাদা না দেওয়ার কারনে আমার ভগ্নিপতি মন্নান ও ভাইগ্না মিজানকে
অনেক মারধর করেন এবং এই ঘটনা বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন।বর্তমানে আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকা থাকার কারণে আমার পরিবার নিরাপত্তা হিনতায় রয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুস্থ বিচার দাবি করছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সহিদের কাছে জানতে চাইলে,তিনি তাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন,মূলত নুরুল ইসলাম গংদের সাথে আমাদের জায়গায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলমান রয়েছে,তাই নুরুল ইসলাম আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।

শশীভুষন থানার অফিসার ইন চার্জ ম এনামুল হক বলেন এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা করা হবে।

সব খবর