ছাত্রজনতার আন্দোলনে তাওহীদ সন্ন্যামাত (২১) হত্যা মামলায় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে জেলার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এলিয়াম হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে শাহাবুদ্দিন আহমেদকে আটক করে বিজিবি।
বিজিবির কুমিল্লা-১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) আওতাধীন বিবিরবাজার আইসিপি–সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করায় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
পরে বিজিবির সদস্যরা তাকে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লাকে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৫ আগস্ট মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদী হয়ে ৯২ জনের নাম উল্লেখ করে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলার এজাহারে আসামি করা হয়- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান, শাজাহান খানের ছোট ভাই ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, মাদারীপুরের সাবেক পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান বাচ্চুসহ অন্যরা।