ঈমানী অস্তিত্বের ঈদ প্রাণাধিক প্রিয়নবীর শুভাগমন ঈদে আজম উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
দয়াময় আল্লাহতাআলার পরম রহমত হিসেবে সমগ্র মানবমন্ডলীর দোজাহানের সর্বকল্যাণ ও মুক্তি সাধনায় দুনিয়ায় প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন ঈদে আজম উদযাপন উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে ১২ ই রবিউল আউয়াল ( ১৬ই সেপ্টেম্বর) সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে এক বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশের পর আনন্দ র্যালি মিজান ময়দান থেকে শুরু হয়ে কলেজ রোড, ট্রাংক রোড হয়ে মিজান ময়দানে সালাতু সালাম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— তফসিরুল কোরআন মাশাহেদুল ঈমানের প্রণেতা ও পবিত্র বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাফহিমুল বোখারী শরীফের প্রণেতা, ওস্তাজুল ওলামা, শায়খুল হাদিস, ইমামে আহলে সুন্নাত, পীেও হাক্কানী, ওলীয় রাব্বানী— হাফেজ আল্লামা সৈয়দ সাইফুর রহমান নিজামী শাহ। সভাপতিত্ব ও দিক নির্দেশনামূলক মূল বক্তব্য রাখেন— ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশনের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ইমাম হায়াত।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আল্লামা মুফতি রেজাউল কায়সারের সঞ্চালনায় বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা শেক রায়হান রাহবার, কেন্দ্রীয় নেতা— আল্লাম আরেফ সারতাজ, আল্লামা খাজা রাশেদ, আল্লামা শেক নঈমু্দ্দীন, আল্লামা হাফেজ ইলিয়াছ শাহ, আল্লামা এমদাদুল হক সায়ীফ। এছাড়া ফেনী জেলার প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা নুরুল হক ভূঞা, জেলার সহ—সভাপতি আল্লামা গোলাম সরওয়ার, সাধারণ সম্পদক আল্লামা হাসান আবরার, সাংবাদিক নেতা জিয়া উদ্দিন সোহাগ নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক সম্মানিত পীর মাশায়েখ ওলামায়ে কেরাম, চিন্তাবিদ, গবেষক, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাপক সংখ্যাক ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ এতে অংশগ্রহন করেন।
আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, দয়াময় আল্লাহতাআলার সর্বোচ্চ রহমত রূপে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সত্যের আলো ও মুক্তির উৎস এবং সকল গুন—জ্ঞান সকল কল্যাণের মূল হিসেবে দুনিয়ায় প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন দয়াময় আল্লাহতাআলাকে পাওয়ার পরম শোকরিয়া সবোর্চ্চ ঈদ ঈদে আজম।
দয়াময় স্রষ্টার মহান রাসুল ই সর্বসৃষ্টির জন্য স্রষ্টার আলো ও বন্ধন এবং সর্বোচ্চ অনুগ্রহ; স্রষ্টার পক্ষ থেকে মহান রাসুল ই সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সকল জ্ঞান—বিজ্ঞান, সকল গুন, সকল কল্যাণের উৎস।
মহান রাসুল ই জীবনের জ্ঞান ও মানবতার প্রাণ উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সত্য ও মানবতার মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত স্রষ্টার বন্ধন যেমন হয় না; তেমনি মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত মানবিক অস্তিত্ব, মানবজীবন, জীবনের রাষ্ট্র ও জীবনের দুনিয়াও হয় না। তাঁরা বলেন, মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত জীবন ও জগত মিথ্যা—অবিচার—শোষন—সন্ত্রাস—পাশবতা—দস্যুতা—স্বৈরতার শিকারে রুদ্ধ ও ধ্বংস হয়ে যায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সকল মানুষকে নিজের জীবনের সুরক্ষা—স্বাধীনতা—মর্যাদা ও কল্যাণের স্বার্থে অবশ্যই প্রিয় রাসুল কেন্দ্রীক হতে হবে। তাঁরা বলেন, প্রিয় রাসুলের দেয়া মানবতার রাষ্ট্র ও মুক্ত জীবনের অখন্ড দুনিয়া খেলাফতে ইনসানিয়াত ছাড়া বিধ্বংস ও মৃত মানবতাকে বাঁচানোর কোন উপায় নেই।
বক্তাগণ প্রাণাধিক প্রিয়নবী প্রদত্ত ঈমানী জীবন এবং মানবতার রাষ্ট্র ও মানবতার দুনিয়া খেলাফতে ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সত্য ও মানবতার উৎস ঈদে আজম উদযাপন করার আহ্বান জানান।