ঢাকা, শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, সন্ধ্যা ৬:০৯
বাংলা বাংলা English English

শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ : ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ


১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ। তাঁর আদর্শকে যদি আমরা ধারণ করতে পারি তাহলে একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারবো।
তিনি বলেন, মহানবীর (সা.) আদর্শ যদি আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে চর্চা করতে পারি তাহলে সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারবো।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ‘মহানবী (সা.) এর সাম্য ও সম্প্রীতির আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) আমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন। হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রে যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার কিংবা জুলুম করে তবে কিয়ামতের দিন মহানবী (সা.) সেই মুসলিমের বিপক্ষে দাঁড়াবেন। যুদ্ধের ময়দানে নারী ও শিশুদের প্রতি একজন মুসলিম যোদ্ধার নীতি কী হবে সেই বিষয়েও নবী করিম (সা.) নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এছাড়া, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও রাসুল (সা.) অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এক হাজার ৪০০ বছর আগে পৃথিবীতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই প্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, নবী করিম (সা.) হলেন সারাবিশ্বের জন্য সুসংবাদদাতা। তিনিই মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। তার পূর্বে সমাজে নারীর কোন মর্যাদা ছিলো না, বরং নারীদেরকে নানাভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হতো।
তিনি বলেন, আমরা যদি সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি দেশ গড়তে চাই তাহলে নবী (সা.) এর আদর্শ মেনে চলা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকার দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে জাতীয় নির্বাচন দেয়া হবে। এই নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবাই তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে। তিনি সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালীন নোমানী। এতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
শেষে মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সব খবর