ছাত্র আন্দোলন ও জনরোষের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেলে ফেনী পৌরসভা ভবনসহ বেশ কিছু স্থাপনায় অগ্নিসংযাগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার ৪১ দিন পর পৌর ভবনে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর লুটপাটের ফেনী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম শাখাওয়াত উল্যাহ চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন।
জানা যায়, মামলায় ৫ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্ট সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ছিল। ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। এর পরপরই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যক্তি লাঠিসোঁটা, কুড়াল, করাত, আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রসহ পৌরসভার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এরপর তারা পৌর কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া পৌরসভা ভবনের সামনে থাকা লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স এবং পৌরসভার বেশ কয়েকটি ময়লা বহনকারী গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় পৌরসভার কার্যালয়ের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ নথি, বিল ভাউচার আসবাব, বৈদ্যুতিক পাখা, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, ফ্রিজ, এসি, আলমারি, কেবিনেট, ফগার মেশিন পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার তিন দিন পর পৌর কর্মচারী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় শহরের বিরিঞ্চি, উত্তর সহদেবপুর, সুলতানপুর, বারাইপুর এলাকা থেকে লুট হওয়া পৌরসভার বিভিন্ন মালামালের কিছু পরিমাণ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘ফেনী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা অজ্ঞাত পরিচয় চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’