সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহান আল্লাহ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ ও একত্ববাদের প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রিয় হাবিবকে অপার রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।
সাড়ে ১৪০০ বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মলাভ করেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল (সা.)। ইসলামের সুমহান দ্বীন ও জীবনবিধান প্রচার শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির এ দিনে ইন্তেকাল করেন তিনি। এ জন্য দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এক বিবৃতিতে বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তাআ’লা হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আদর্শ, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
মহানবী (সা.)–এর জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা পুরো পৃথিবী জুড়ে যেন প্রতিফলন ঘটাতে পারে। সেজন্য পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ সকল প্রাণীর মধ্যে সেরা, যাকে বলা হয় ‘আশরাফুল মাখলুকাত’, সেই সকল মানুষের জন্যে সবচেয়ে অনুসরণীয় হচ্ছেন মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যবাদিতার জন্য শৈশবেই তিনি ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সব নবী ও রাসুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.)–এর ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত প্রকাশিত হয়। এরপর ২৩ বছর তিনি তৌহিদের বাণী প্রচার করেছেন। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।