ঢাকা, বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ৩:১৯
বাংলা বাংলা English English

বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনের নামে আদালতে হত্যা মামলা


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আব্দুল হাদিস নামের একজন গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনের নামে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিহত হাদিসের ভাই আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. বাহার মিয়া বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদের আদালতে অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এ বিষয়ে শুনানির পর ২০১৪ সালে হওয়া হত্যার অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য আদালত আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্টজন মো. তাকজিল খলিফা, তৎকালীন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সরাইল ১২ ব্যাটালিয়ানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এরশাদ, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাশেম ভূঁইয়া, তাকজিল খলিফার আপন বড় ভাই আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা, মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, জুয়েল খান, নাহিদ খান ও নাছির মিয়া। এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রীকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় আবুল কাশেম আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নিহত হাদিস মিয়া ভোট কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থান করছিলেন। ভোট কেন্দ্রের কাছাকাছি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের বিষয়টি মামলার আসামিরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফাকে মুঠোফোনে জানান। আনিসুল ও তাকজিল ওই সময় নিহত হাদিসসহ অন্যদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে নির্দেশ দেন। বিজিবির তৎকালীন অধিনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি রাইফেল নিয়ে গুলি করেন। বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হলে হাদিস ঘটনাস্থলেই মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাদিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী নুরুজ্জামান লস্কর সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারাসহ হত্যার অভিযোগে এজাহার করা হয়। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য আখাউড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সব খবর