অবৈধ্য বিট কয়েন,অবৈধ ডলার বেচাকেনা সহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের হোতা মানিক।
অবৈধ পথে আয় করে কিনেছেন সহায়সম্পদ,দামী মটর বাইক ও দামী মুঠোফোন। আর এর সব কিছুর মূলে রয়েছে সুবিশাল সিন্ডিকেট।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে খোঁজ পাওয়া যায়, মানিক সিন্ডিকেটর আরও দুই জনের নাম। এদের একজন রায়গঞ্জ থানাধীন ধানগড়া উপজেলার গুনেরগাতি গ্রামের বাসিন্দা ময়ছারা বেগমের পুত্র মুবারক ও একই থানাধীন ব্রম্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক আলমের পুত্র রিপন আহমেদ। এদেরই একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান,কয়ড়া দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলম দুবছর পূর্বেও সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হটাৎ করে তার ছেলের অবৈধ আয়ে মাত্র কয়েক বছরে প্রায় কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
অপর দিকে একই ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের মানিকও অবৈধ বিটকয়েন ও ডলার বেচা- কেনা করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার। মানিকের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে।সে তার মামাতো ভাই সাবেক ছাত্র লীগ কর্মী বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত সেনা সদস্য সালমান ইসলাম সনেটের ভয় দেখিয়ে সকলের মুখ বন্ধ করে দেয়। এমনকি ইতিপূর্বে অনেক গণমাধ্যম কর্মীকে ও মানিক তার মামাতো ভাই সেনা সদস্য সনেটকে দিয়ে ভয়ভীতিও দেখিয়েছেন বলেও জানান পেশাগত সাংবাদিকগন।
এই মানিকের বাড়ির পার্শ্বে রয়েছে আরেক মাদকের ডিলার আলম। যার বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় রয়েছে একাধিক মামলা।
কে এই সেনা সদস্য সালমান ইসলাম সনেট?
খোঁজ নিয়ে জানা যায় তেবাড়িয়া গ্রামের কসাই পাড়ার আসাদুল কসাই এর ছেলে মানিক। স্কুল জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার শাসন আমলে সেনাবাহিনীতে চাকরি হয় সনেটের। এর পূর্বে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিটিং মিছিলেও তার সক্রিয় অংশগ্রহনের তথ্য নিশ্চিত করেন এলাকার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা। রায়গঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের অত্যান্ত আস্হা ভাজন ছিলেন এই সনেট।
বিগত উপজেলা নির্বাচনে চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে এসে আওয়ামী লীগের মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শোভন সরকারের সাথে সরাসরি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছেন।
চাকরিতে যোগদানের প্রায় ২ বছরের মাথায় তিনি গোপনে বিয়ে করেন। যা সামরিক বাহিনীর নিয়ম বহিঃভূত। এ ব্যাপার সাবেক সেনাবাহিনীর মেজর আতাপ সাহেবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বললেন, সেনাবাহিনীতে কর্মরত সদস্যদে বিয়ে ক্ষেত্রে তাদের বয়স ২৬ বছর পূর্ণ হতে হবে এবং তার চকুরীর মেয়াদ ৬ বছর পূর্ণ হলে তাকে বিয়ে অনুমতি দেয়া হয়।এর পূর্বে যদি কেউ বিয়ে করে আর তা যদি প্রমানিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তারও বিধান রয়েছে সেনাবাহিনীতে। এ ব্যাপারে জানতে, সেনা সদস্য সালমান ইসলাম সনেটের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি । (01644-488266 সেনা সদস্য সালমান ইসলাম সনেট)