ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ৯:০৫
বাংলা বাংলা English English

শুক্রবার, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন


গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। একই সঙ্গে দমকা বাতাস বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়াকে আরও শীতল করে তুলেছে।

সোমবারও (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। বৃষ্টিতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।

চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরের ভ্যানচালক করিম আলী বলেন, তিনদিন থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে দমকা বাতাসও হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। সকাল থেকে কোনো ভাড়া হচ্ছে না।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার। তবে আজ আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলেও আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টিতে নাকাল চুয়াডাঙ্গা

এদিকে গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ফসলের মাঠ। পানিতে তলিয়ে গেছে ধান, কলা, শীমসহ উঠতি ফসল। ধান, শীম, কলা, পেঁপেসহ অন্যান্য মৌসুমি ফসলের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরুপণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক আবুল হাশেম বলেন, বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে আমার সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ধান ও কলার খেত ডুবে গেছে। যা খরচ করেছিলাম তা আর উঠবে না।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘গত তিন দিনের প্রতিকূল আবহাওয়ায় ধান, পেঁপে, কলা, পান ও গ্রীষ্মকালীন সবজিসহ মৌসুমি ৮টি ফসলের ৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ কাজ চলছে।’

সব খবর