ঢাকা, সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ৮:৩২
বাংলা বাংলা English English

সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি বছরই শেষ হচ্ছে ১৮৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার জেটির নির্মাণকাজ


চলতি বছরই সম্পন্ন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে হেভি কার্গো জেটি নির্মাণের মেগা প্রকল্প। ১৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে বলে পরিকল্পনা কমিশনকে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য ডেডিকেটেড কোনো জেটি নেই। বর্তমানে ভারী কার্গো ল্যান্ডিং ও হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিদ্যমান এনসিটি বার্থ নং-৫ ব্যবহার করা হচ্ছে, যার লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি প্রতি বর্গমিটারে ৩ টন। প্রতি বর্গমিটারে ৫ টন লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি সম্পন্ন একটি হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণ করাই মেগা প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।

আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় ১২৪ মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫টি লো-বেড ট্রেইলার সংগ্রহ করা হবে। সেইসঙ্গে আর্থ রিটেইনিং স্ট্রাকচার, আরসিসি ইয়ার্ড, পেভমেন্ট সংশ্লিষ্ট সুবিধাসমূহ নির্মাণ/স্থাপন, ইয়ার্ড লাইটিং টাওয়ার ইত্যাদি সুবিধাসহ বৈদ্যুতিক কাজ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় আরও নির্মাণ করা হবে অফিস ভবন, সাইট অফিস, গুদাম ও সাইট ল্যাবরেটরি।

হেভি লিফট কার্গো জেটিটি জিসিবি ১৩ নং জেটির উজানে নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা করা হয়। মূলত যথোপযুক্ত স্থান না থাকার কারণেই জেটির দৈর্ঘ্য ১২৪ মিটার নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব জাহাজ এ ধরনের কার্গো আনায়ন করে, সেগুলোর দৈর্ঘ্য ২০০ থেকে ২২০ মিটার পর্যন্ত হয়। ফলে একটি আধুনিক হেভি লিফট জেটির দৈর্ঘ্য ন্যূনতম ২৪০ মিটার হওয়া প্রয়োজন। এটি বিবেচনা করে যথোপযুক্ত দৈর্ঘ্য ও ড্রাফট সম্বলিত জাহাজ আনায়নের জন্য চট্টগ্রামের ইনকনট্রেড টার্মিনালের সামনের নদীমুখ ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়।

এক্ষেত্রে সেখানে সার্ভে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সার্ভে রিপোর্টে দেখা যায়, ওই এলাকায় জেটি নির্মাণ করলে নদীমুখ সংকীর্ণ হয়ে যাবে। ফলে উল্লিখিত স্থান পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে লালদিয়া-১ এলাকাকে হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণের জন্য সর্বোত্তম স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

সব খবর